চিত্রে যে দুর্যোগটির ফলে বিল্ডিংটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা হলো ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের ফলে আমাদের দেশ যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ধরনরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিছু কিছু দেশে ভূমিকম্প অনেকটা ধ্বংসযজ্ঞের মতো হয়। নিচে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরা হলো-
বড় ভূমিকম্প নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। ভূমিকম্পের ফলে আমাদের অন্যতম প্রধান নদী ব্রহ্মপূত্রের গতিপথ বদলে গিয়েছে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ভূমিকম্প না হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশ বড় ধরনের ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পৃথিবীর মাঝে জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। বাংলাদেশের ভেতরে সাম্প্রতিক কালে কোনো বড় ভূমিক হয়নি, কিন্তু আশপাশে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পন অনুভূত হয়েছে। ১৮৮৪ সালে মানিকগঞ্জ এলকায় রিখটার স্কেলে ৭মাত্রার বড় একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৮৯৭ সালে শিলংয়ে ৮.৭মাত্রায় একটি বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। যেহেতু অতীতে এই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্প হয়েছে। তাই আমাদের ধরে নিতে হয় ভবিষ্যতেও হতে পারে। সেটি কখন হবে যেহেতু আমাদের জানা নেই, তাই সব সময়েই প্রস্তুত থাকতে হবে।
২০১০ সালে হাইতিতে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প ২০১১ সালে জাপানের ভূমিকম্প এবং ২০১৫ সালে নেপালের ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে গেছে। জাপানের ভূমিকম্পের পর সেখানে সৃষ্ট সুনামি নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্রে আঘাত করে একটি নিউক্লিয়ার দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল।