শিক্ষক ক্লাসে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ দূষণ যেমন পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ সম্পর্কে পড়াচ্ছেন। পড়ানোর শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন- “জনসচেতনতাই একটি মান সম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে"।
উদ্দীপকে শিক্ষকের শেষোক্ত উক্তিটি হলো- "জনসচেতনতাই একটি মান সম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।" নিচে উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করা হলো-
মানুষের কারণেই মূলত পরিবেশের পরিবর্তন ব্যাপক আকারে হয়। আমাদের জীবনধারণের জন্য যে আবশ্যকীয় উপাদান আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বাতাস। বাতাস বা অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি
মাত্র ৪০-৫০ সেকেন্ড। এই বাতাস যদি দূষিত হয়, এতে যদি নানা রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ (যেমন- CO, SO₂, SO, NO ইত্যাদি), ধুলাবালির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা থাকে, তবে তা অক্সিজেনের সাথে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ও প্রাণঘাতী নানা রকম রোগ (যেমন ফুসফুসের ক্যান্সার) সৃষ্টি করে। একইভাবে রাসায়নিক পদার্থ গাছপালা, মাটি, অন্যান্য প্রাণী সবকিছুর জন্যই মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাতাসের মতো পানিও আমাদের জীবনধারণের জন্য অতি জরুরি একটি উপাদান। নদ-নদীর পানি দূষিত হলে সেখানে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। বাতাস ও পানির মতো পরিবেশের প্রতিটি উপাদানই আমাদের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। এই পরিবেশ যদি মানসম্মত ও উন্নত না হয়, তবে তা সকল জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে ও আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়বে।
তাই এ ব্যাপারে আমাদের নিজেদের যেমন সচেতন হতে হবে পাশপাশি জনগনকেও সচেতন করতে হবে। সুতরাং জনসচেতনতাই মানসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে উক্তিটি যথার্থ।