পরিবেশ বিজ্ঞানীরা 'সম্প্রতি বাংলাদেশের জলবায়ু পর্যালোচনা করে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন:
সিদ্ধান্ত-১: ষড় ঋতুর বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঋতুর পরিবর্তন হওয়ায় প্রতিটি ঋতুর স্বমহিমা প্রকৃতিতে আর দেখা যায় না।
সিদ্ধান্ত-২: জলবায়ু পরিবর্তনের দরুন নতুন নতুন রোগের আবির্ভাব হওয়ায় মানবজাতির অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ এবং প্রতিটি ঋতুর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ ঋতুচক্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হতে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ঋতুতে আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দু'মাস বর্ষাকাল। এ সময় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু ইদানিং আশ্বিন মাসেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং তা অসময়ে বন্যার কারণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে শীতকাল ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালে অনেক বেশি গরম পড়ছে এবং মাঝে মাঝে দেশের কোনো কোনো এলাকায় দিনের তাপমাত্রা ৪৫-৪৮০° সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে, শীতের তাপমাত্রা অনেক বেশি কমে যাচ্ছে এবং কখনো কখনো তা কোনো কোনো এলাকা বিশেষত
উত্তরাঞ্চলে ০° সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে আসছে। অস্বাভাবিক এই গরম ও শীতের কারণে প্রাণহানিও ঘটছে।