আমির জাপান সরকারের শিক্ষা বৃত্তির জন্য মনোনীত হয়। কিন্তু তার দাদু সে দেশের প্রাকৃতিক অবস্থার কথা ভেবে তাকে সেখানে যেতে বারণ করে। কারণ দেশটি প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয় এবং ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। তাই আমির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।
আমিরের দাদু চিন্তা করলো যে, জাপানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়, তাই আমিরকে জাপানে পাঠালে তার জীবন বিপন্ন হবে।
জাপান বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত হয়েছে। এজন্য জাপানের বেশির ভাগ ঘর বাড়ি এক সময় তৈরি হতো কাগজ বা হালকা কাঠ দিয়ে। ভারী জিনিস দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি না করে হালকা জিনিস দিয়ে তৈরি করলে ভূমিকম্পের পর ঐ সমস্ত জিনিসের নিচ থেকে উদ্ধার কাজ যেমন সহজ হয় তেমনি প্রাণহানিও কম হয়। অন্যদিকে আমাদের দেশও বিশেষজ্ঞদের মতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের বিল্ডিংগুলো ভূমিকম্প প্রতিরোধক করে তৈরি করা হয়নি এবং ঢাকা শহরে ঘনবসতির জন্য ভূমিকম্প এড়ানোর কোনো কৌশল অবলম্বন করা সহজ কাজ নয়। এছাড়া ভূমিকম্প কখন কোথায়, কি মাত্রায় হবে তা বলা যায় না। এটা সম্পূর্ণই প্রাকৃতিক ব্যাপার। তাই আমিরের দাদুর চিন্তাভাবনা অমূলক তা বলা যায়।