প্রিয়ন্তী টেক্সটাইল লি.-এর পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা যার মধ্যে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ার মূলধন ৫ কোটি, ৬% অগ্রাধিকার শেয়ার মূলধন ৩ কোটি এবং অবশিষ্ট ৮% ঋণ মূলধন। ২০১২ সালে কোম্পানি শেয়ার প্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ প্রদানের এবং তা প্রতি বছর ১০% বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং মুনাফার বৃহৎ একটি অংশ দ্বারা ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে মুনাফার অংশ দিয়ে ঋণ পরিশোধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সাধারণত কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের উৎসের মধ্যে ঋণ মূলধন অন্যতম। মূলধনের চাহিদা মিটানোর জন্য বৃহৎ কোম্পানিসমূহ সাধারণ শেয়ার এবং অগ্রাধিকার শেয়ারের পাশাপাশি ব্যাংক বা অন্যান্য উৎস
থেকে বিভিন্ন মেয়াদে (যেমন: স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ) ঋণ গ্রহণ করে।
প্রিয়ন্তী টেক্সটাইল ২০১২ সালের শেয়ার প্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করে। প্রতিষ্ঠানটি লভ্যাংশের একটি বৃহৎ অংশ দিয়ে ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু কোম্পানির এরূপ উদ্যোগের ফলে সাধারণ শেয়ারের মালিকরা নিজেদের বিনিয়োগ উঠিয়ে নিতে চাইবে এবং সেই সাথে নতুন বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগে উৎসাহ হারাবে।
প্রিয়ন্তী টেক্সটাইল মুনাফার বৃহৎ অংশ দিয়ে ঋণ পরিশোধের সিদ্ধান্ত না
নিয়ে উক্ত লভ্যাংশ সংরক্ষিত তহবিলে জমা রাখতে পারে। পরবর্তীতে কোনো লাভজনক খাতে তা বিনিয়োগ করতে পারে। উক্ত বিনিয়োগ থেকে যে আয় হবে তার অংশ সাধারণ শেয়ারের মালিকরাও পাবেন।
এক্ষেত্রে প্রিয়ন্তী টেক্সটাইল লভ্যাংশের বৃহৎ অংশ দিয়ে ঋণ পরিশোধের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির প্রতি আস্থা হারাবে। ফলে কোম্পানির মূলধন এবং সুনামের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। সুতরাং, মুনাফা দ্বারা