'XYZ' কোম্পানি সদস্যদের সমাপ্ত বছর প্রতি, শেয়ার ১৫ টাকা হারে লভ্যাংশ দেয়। অতীত রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেল কোম্পানির লভ্যাংশ ৫% হারে বৃদ্ধি পায়। সাধারণ শেয়ারের বাজারমূল্য ১৫০ টাকা। আগামী বছর কোম্পানির নতুন একটি প্রকল্পের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দরকার। কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে এমন একটি তহবিল বেছে নিল যার একটি সুযোগ ব্যয় আছে।
মূলধন সংগ্রহের ক্ষেত্রে XYZ কোম্পানি সংরক্ষিত আয়কে বেছে নিয়েছে যা যৌক্তিক।
কোম্পানি তার নিট মুনাফার যে অংশ লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন না করে সংরক্ষণ করে তাকে সংরক্ষিত আয় বলে। সংরক্ষিত আয়ের তহবিলটি কোনো লাভজনক প্রকল্পে দ্রুত অর্থায়নের প্রয়োজন পড়লে ব্যবহার করা হয়। এর একটি সুযোগ ব্যয় থাকে।
উদ্দীপকে XYZ কোম্পানির সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় ১৫.৫০%।
আগামী বছর কোম্পানি একটি নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে। প্রকল্পে বিনিয়োগ করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কোম্পানিটি পাঁচ লক্ষ টাকার অর্থায়নের জন্য সংরক্ষিত আয়ের তহবিলটিকে বেছে নেয়। এ তহবিলের একটি সুযোগ ব্যয় আছে।
সংরক্ষিত আয় থেকে অর্থায়নের ফলে কোম্পানি দ্রুত তার প্রকল্পে অর্থায়ন করতে পেরেছে। কোম্পানির সংরক্ষিত আয়ের যে সুযোগ ব্যয় হচ্ছিল সেটি আর হবে না। কারণ কোম্পানি প্রকল্প থেকে আয় করবে।
এছাড়াও সংরক্ষিত আয় অভ্যন্তরীণ তহবিল হওয়ায় এটি মূলধন হিসেবে ব্যবহার করতে কোনো বাড়তি খরচ হয় না। সুতরাং বলা যায়, মূলধন -সংগ্রহের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আয়কে তহবিল হিসেবে বেছে নেওয়া কোম্পানির জন্য যৌক্তিক হয়েছে।