দ্বিতীয় অধ্যায়
(যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও)
জনাব মুহসিন উদ্দিন নিজ এলাকায় একটি জনকল্যাণ সংঘ প্রতিষ্ঠা করে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসীর মধ্যে বেশিরভাগ লোক বিরোধীতা করে। ফলে তিনি অনুসারীদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলায় চলে যান। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় সংঘের কাজ এগিয়ে নিতে থাকেন। একদিন কিছু অনুসারী নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কাছাকাছি পৌঁছলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে অনেক আলাপ আলোচনা পর অবশেষে একটি সমঝোতা হয়। তৎক্ষণিকভাবে সমঝোতার ফল জনাব মুহসিন উদ্দিনের বিপক্ষে গেলেও পরবর্তীতে দেখা যায় এর ফলে বিরোধীপক্ষ সর্বদিক থেকে পরাজিত হয়।
ঘটনা-১: জনাব নাঈম দশ বছর পূর্বে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তিনি স্ত্রীর সুযোগ-সুবিধার প্রতি নজর রাখতেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও স্বামী স্ত্রী উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো না। স্বামীর আচরণে তার স্ত্রী সন্তুষ্ট ছিল। নাঈম দম্পতির সুন্দর আচরণ অনেকেই আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে।
ঘটনা-২: এখলাছপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমজাদ সাহেব অভাব অনটনের সময় গরিব মানুষকে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করেন। ঋণ দেয়ার সময় গ্রহীতাদেরকে তিনি বলতেন-আমি তোমাদেরকে যে টাকা দিচ্ছি ফেরত দেয়ার সময় ঠিক তাই আমাকে দিবে। এর অতিরিক্ত এক টাকাও কেউ আমাকে দিবে না।
আহমদ সাহেব বিলসলুয়া গ্রামের মেম্বর। এ গ্রামে বিশ্বাস, মন্ডলসহ বহু গোষ্ঠীর লোকের বসবাস। তিনি সব গোষ্ঠীর লোকের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু মেম্বরের নানাবিধ সফলতায় বিশ্বাসগোষ্ঠীর লোকেরা বিভিন্নভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তাঁকে মেম্বর পদ থেকে পদচ্যুত করার জন্য অন্য আরেকজনকে সমর্থন দেয়। এমনকি মেম্বর সাহেবকে তারা হত্যার চেষ্টাও করেন। ফলে তিনি বিশ্বাসগোষ্ঠীর পরিবারগুলোকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করেন। অন্যদিকে মন্ডলগোষ্ঠীর লোকেরা তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে। এ প্রেক্ষিতে তাদেরকে তিনি নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সাহায্যদানের প্রতিশ্রুতি দেন।