বর্ষাকাল, বাড়ির পাশের বিলে আপনমনে মাছ ধরছে জিসান। হঠাৎ সাপে কাটে জিসানকে। সঙ্গীরা দেখতে পেয়ে দ্রুত বাড়িতে নিয়ে আসে, গ্রামের ওঝাকে আনতে লোক পাঠায়। ওঝা এসে ঝাড়-ফুঁক শুরু করে। কিন্তু সময় যতো গড়ায় জিসানের অবস্থা ততো খারাপ হতে থাকে। লোকমুখে খবর শুনে ছুটে আসে স্বাস্থ্যকর্মী মাহমুদা। জিসানকে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিতে বলে। ক্ষেপে যায় ওঝা, মাহমদাকে ভয় দেখায়। মাহমুদা কারো কথা না শুনে জিসানকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জীবন রক্ষা পায় জিসানের।
মুনিয়াটা সত্যি কঠিন পরীক্ষাক্ষেত্র'- কথাটি বহিপীর বলেছেন জমিদার হাতেম আলিকে তাঁর জমিদারি নিলামে ওঠার খবর শুনে।
জমিদার হাতেম আলি একজন ক্ষয়িষ্ণু জমিদার। খাজনা বাকি পড়ার কারণে তাঁর জমিদারি সূর্যাস্ত আইনে নিলামে উঠতে যাচ্ছে। জমিদারি
রক্ষার জন্য তিনি তার বালাবন্ধু আনোয়ারউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেও টাকা সংগ্রহ করতে পারেননি। জমিদারি রক্ষার অর্থ সংগ্রহের কথা বলে তিনি অসুখের নাম করে শহরে গিয়েছিলেন। এসব কথা বহিপীরকে বলার পর তিনি তাঁকে সান্তনা দেওয়ার জন্য প্রশ্নোক্ত কথাটি বালছেন। তিনি জমিদারকে বেশি চিন্তা করে যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়েন সে জন্য সাহস দেন এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে বলেন। তিনি বলেন, খোদা কাকে কীভাবে পরীক্ষা করে তা বোঝার ক্ষমতা আমাদের নেই।
শীর সাহেবের সব প্রায় অন্য রূপ লক্ষ রাগকে, পীর ততই প্রতি অসন্তুষ্ট হন।
প্রায় অসম্মতি প্রকাশ
সারকথা: 'বহিপীর' নাটকে জমিদার হাতেম আলির জমিদারি হারানোর কথা শুনে তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বহিপীর প্রশ্নোক্ত কথাটি
বলেছেন।