বলক, লগ্নক, পদাশ্রিত নির্দেশক

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - বাংলা বাংলা ২য় পত্র | - | NCTB BOOK
488
488

কয়েকটি অব্যয় বা প্রত্যয় কোনো না কোনো পদের আশ্রয়ে বা পরে সংযুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপন করে , এগুলোকে পদাশ্রিত অব্যয় বা পদাশ্রিত নির্দেশক বলে । বচন ভেদে পদাশ্রিত নির্দেশকেও বিভিন্নতা প্রযুক্ত হয় ।যেমন-

একবচনেঃ টা,টি খানা খানি,গাছি ইত্যাদি নির্দেশক হয় । যেমন-টাকাটা,বাড়িটা,কাপড়খানা,বইখানি ইত্যাদি।

বহুবচনেঃ গুলি,গুলো গুলা প্রভৃতি নির্দেশক প্রত্যয় সংযুক্ত হয়। যেমন-মানুষগুলি ,লোকগুলো ইত্যাদি ।

পদাশ্রিত নির্দেশকের ব্যবহার

ক) এক' শব্দের সঙ্গে টা টি টু যুক্ত হলে অনির্দিষ্টতা বোঝায় । যেমন- একটি দেশ ,সে যেমনই হোক দেখতে ;এক যে ছিল রাজা।কিন্তু অন্য সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে টা,টি যুক্ত নির্দিষ্টতা বোঝায় ।যেমন- তিনটি বছর ,দশটি বছর ইত্যাদি ।

খ) নিরর্থক ভাবেও নির্দেশক টা টি এর ব্যবহার লক্ষণীয় ।যেমন- সারাটি সকাল তোমার আশায় বসে আছি ।

গ) নির্দেশক সর্বনামের পরে টা টি যুক্ত হলে তা সুনিরররদিষ্ট হয়ে যায় । যেমন - ওটি যেন কার তৈরি ?

বলক

407
407

বলক-

 অনেক সময় আমরা আমাদের বক্তব্যের গুরুত্বকে বাড়ানোর জন্য - অথবা বক্তব্যকে জোরালো করার জন্য কিছু বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ (শব্দাংশ) পদের সঙ্গে যুক্ত করি । এই বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছকে বলক বলে।

 যেমন – আমি বইটি এখন পড়ব। আবার আমি বইটি এখনই পড়ব। দ্বিতীয় বাক্যে ‘এখনই' পদের

 মাধ্যমে বক্তব্য জোরালো হয়েছে। তাই 'এখনই' পদের শেষাংশের 'ই' হলো বলকের উদাহরণ।

common.content_added_by

লগ্নক

477
477

লগ্নক - শব্দ পদে পরিণত হওয়ার পর আরও অতিরিক্ত যে বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ যুক্ত হয় তাদের লগ্নক বলে।

লগ্নক দুই প্রকার – ১) সলগ্নক ২) অলগ্নক

common.content_added_and_updated_by

সলগ্নক

431
431

বাক্যে যেসব পদে লগ্নক থাকে সেগুলোকে সলগ্নক পদ

common.content_added_and_updated_by

অলগ্নক

471
471

যেসব পদে লগ্নক থাকে না সেগুলোকে অলগ্নক পদ বলে।

common.content_added_by

নির্দেশক

483
483

কয়েকটি অব্যয় বা প্রত্যয় কোনো না কোনো পদের আশ্রয়ে বা পরে সংযুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপন করে, এগুলোকে পদাশ্রিত অব্যয় বা পদাশ্রিত নির্দেশক বলে। বাংলায় নির্দিষ্টতা জ্ঞাপক প্রত্যয় ইংরেজি Definite Article The'-এর স্থানীয়। বচনভেদে পদাশ্রিত নির্দেশকেরও বিভিন্নতা প্ৰযুক্ত হয় ৷

পদাশ্রিত নির্দেশকের ব্যবহার

১.(ক) ‘এক’ শব্দের সঙ্গে টা, টি, যুক্ত হলে অনির্দিষ্টতা বোঝায়। যেমন- একটি দেশ, সে যেমনই হোক দেখতে। কিন্তু অন্য সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে টা, টি যুক্ত হলে নির্দিষ্টতা বোঝায়। যেমন- তিনটি টাকা, দশটি বছর।

(খ) নিরর্থকভাবেও নির্দেশক টা, টি-র ব্যবহার লক্ষণীয়। যেমন- সারাটি সকাল তোমার আশায় বসে আছি। ন্যাকামিটা এখন রাখ ।

(গ) নির্দেশক সর্বনামের পরে টা, টি যুক্ত হলে তা সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়। যেমন – ওটি যেন কার তৈরি? এটা নয় ওটা আন । সেইটেই ছিল আমার প্রিয় কলম ।

২. ‘গোটা’ বচনবাচক শব্দটির আগে বসে এবং খানা, খানি পরে বসে। এগুলো নির্দেশক ও অনির্দেশক দুই অর্থেই প্রযোজ্য। ‘গোটা’ শব্দ আগে বসে এবং সংশ্লিষ্ট পদটি নির্দিষ্টতা না বুঝিয়ে অনির্দিষ্টতা বোঝায়। যেমন- গোটা দেশই ছারখার হয়ে গেছে। গোটাদুই কমলালেবু আছে (অনির্দিষ্ট)। দুখানা কম্বল চেয়েছিলাম (নির্দিষ্ট)। গোটাসাতেক আম এনো। একখানা বই কিনে নিও (অনির্দিষ্ট)।

কিন্তু কবিতায় বিশেষ অর্থে ‘খানি’ নির্দিষ্টার্থে ব্যবহৃত হয়। যথা—‘আমি অভাগা এনেছি বহিয়া নয়ন জলে ব্যর্থ সাধনখানি ।

৩.টাক, টুক, টুকু, টো ইত্যাদি পদাশ্রিত নির্দেশক নির্দিষ্টতা ও অনির্দিষ্টতা উভয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়। যেমন – পোয়াটাক দুধ দাও (অনির্দিষ্টতা)। সবটুকু ওষুধই খেয়ে ফেলো (নির্দিষ্টতা)।

৪.বিশেষ অর্থে, নির্দিষ্টতা জ্ঞাপনে কয়েকটি শব্দ : তা, পাটি ইত্যাদি। যেমন-

তা : দশ তা কাগজ দাও ।

পার্টি : আমার একপাটি জুতো ছিঁড়ে গেছে।

common.content_added_and_updated_by

একবচনাত্মক নির্দেশক

392
392

 একবচনাত্মক – টা, টি, খানা, খানি, গাছা, গাছি ইত্যাদি নির্দেশক ব্যবহৃত হয়। যেমন- টাকাটা, বাড়িটা, - কাপড়খানা, বইখানি, লাঠিগাছা, চুড়িগাছি ইত্যাদি।

common.content_added_and_updated_by

বহুবচনাত্মক নির্দেশক

431
431

 বহুবচনাত্মক-

 গুলি, গুলা, গুলো, গুলিন প্রভৃতি নিদের্শক প্রত্যয় সংযুক্ত হয়। যেমন – মানুষগুলি,লোকগুলো, আমগুলো, পটলগুলিন ইত্যাদি।

common.content_added_and_updated_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion