Job

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প হতে উৎপাদিত পণ্যসমূহ রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে করণীয় পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।

dsuc.created: 1 year ago | dsuc.updated: 1 year ago
dsuc.updated: 1 year ago

কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের জন্য শিল্পের ব্যাপক সম্প্রসারণ প্রয়োজন। এজন্য কুটির শিল্পের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে । এ শিল্পে বেশি দামি যন্ত্রপাতি ও বড় ধরনের মূলধন প্রয়োজন হয় না। অতি প্রাচীন কাল থেকেই বাংলাদেশের কুটির শিল্প লাভ করেছিল বিশ্ব খ্যাত মর্যাদা । বাঙালি শিল্পীদের হাতে তৈরি মসলিন সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। 

নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো নেয়ার মাধ্যমে কুটির শিল্পের বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভবঃ
০১. বিদেশে বাংলাদেশের মিশন গুলো তে কুটির শিল্পের ব্রান্ড প্রচার করতে হবে। 
০২. সুলভ দামে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে ।
০৩. কুটির শিল্পে নিয়োজিত ব্যক্তিদের যথাসম্ভব সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দিতে হবে । 
০৪. দেশের প্রত্যেকটি গ্রামে সমবায় ভিত্তিক কুটির শিল্প গড়ে তুলতে হবে।
০৫. কুটিরশিল্পীদের উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
০৬. দেশের নারী সমাজকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে কুটির শিল্পের নানা কাজে নিযুক্ত করতে হবে। 
০৭. আমাদের কুটির শিল্পে যে সমস্ত পণ্য বেশি তৈরি হবে, বিদেশ থেকে সে জাতীয় পণ্য অবাধ আমদানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে।
০৮. নিপুণ কুটিরশিল্পীদের মানপত্র, বৃত্তি এবং পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে।

কুটির শিল্প আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এই শিল্পের সাথে আমাদের অর্থনীতির উন্নতি অবনতি জড়িত। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণ হলো কুটির শিল্প। এর মাধ্যমে যেমন বেকার সমস্যা কমিয়ে আনা যায়, তেমনি দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব। এসব দিক চিন্তা করে কুটির শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও প্রসার ঘটানো প্রয়োজন ।

1 year ago

সাধারণ জ্ঞান

Please, contribute to add content.
Content
Promotion