কুড়িগ্রামের উলিপুর গ্রামের কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়। আবার সঠিকভাবে কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণেও অসুবিধা হয়। কৃষি কর্মকর্তার কাছে পরামর্শের জন্য গেলে তিনি কৃষকদের নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে এক ধরনের সমিতি গঠনের পরামর্শ দেন এবং এই সমিতির আইনের বিষয়টিও বুঝিয়ে বলেন।
উদ্দীপকে কৃষিকর্মকর্তা সমবায় আইনের কথা বলেছিলেন।
সমবায় প্রতিষ্ঠা, নিবন্ধন, পরিচালনা করা এবং সমবায়ের সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গঠিত আইনকে সমবায় আইন বলে। সমবায় আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমিতির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশে ২০০১ সালে প্রণীত সমবায় আইন (সংশোধিত-২০০২)-এ মোট ১৩টি অধ্যায় ও ৯০টি ধারা রয়েছে। এ আইনের বিভিন্ন ধারা উপধারায় সমবায় সমিতি গঠনের ধরন ও রূপরেখা, সদস্যদের বিশেষ সুবিধা ও দায়-দায়িত্ব, সমিতি বিষয়ক বিধি-বিধান, সমবায় সমিতিসমূহের অবসান ও বিলুপ্তি, মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে গৃহীত ঋণের শাস্তি ইত্যাদি বিষয় সন্নিবেশিত আছে। সমবায় আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে- দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায়ের সেচ্ছাসেবী তৎপরতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি ও উৎসাহ দেয়া। সমিতি গঠন, তহবিল সৃষ্টি ও বিনিয়োগ, সমিতি পরিচালনা, হিসাব সংরক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তদারক ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা। দেশে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ক্ষুদ্র, দরিদ্র ও নিরীহ লোকদের শরীকানা ও অধিকার নিশ্চিত করা। সমবায়ের মাঝে দুর্নীতি, সম্পদের অপচয় ও বিশ্বাস ভঙ্গকরণ থেকে সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা।
তাই বলা যায়, সমবায় সমিতির সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্যই কৃষি কর্মকর্তা উপরিউক্ত সমবায় আইনের কথা বলেছিলেন।