স্বপন একজন ক্ষুদ্র চাষি। তার মাত্র চার খন্ড চাষের জমি আছে। তিনি বহুদিন যাবৎ উক্ত জমিতে ধান ও পাটের চাষ করে আসছেন। তার ঐ সব জমিতে এখন আর আগের মতো ফসল হয় না। তিনি চিন্তিত হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি তাকে শুধুমাত্র ধান-পাট চাষ না করে ২-৪ বছর ব্যাপী বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষের পরামর্শ দিলেন। এক্ষেত্রে ফসল চাষে তিনি গভীর ও অগভীরমূলী ফসল বিবেচনাসহ জমিকে বিশ্রাম দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার পরামর্শ দিলেন।
কৃষিকর্মকর্তা স্বপনের জমিতে শস্য পর্যায় অবলম্বন করার জন্য গভীর ও অগভীরমূলী ফসল বিবেচনায় আনতে বললেন। নিচে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হলো- কোনো জমিতে প্রতি বছর একই ফসলের চাষ না করে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচিত কিছু ফসল ধারাবাহিকভাবে চাষ করাকে শস্য পর্যায় বলে। শস্য পর্যায়কে লাভজনক করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। তার মধ্যে একটি হলো গভীরমূলী ফসল (যেমন: তুলা, ভুট্টা) চাষের পর অগভীরমূলী ফসল (যেমন: ধান, গম) চাষ করতে হবে। গভীরমূলী ফসলের শিকড় বা মূল মাটির অনেক গভীর থেকে পুষ্টি উপাদান আহরণ করতে পারে, ফলে উপরের স্তরের পুষ্টি উপাদান সংরক্ষিত থাকে। আবার অগভীরমূলী ফসল উপরের স্তর থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে বলে নিচের স্তরের পুষ্টি উপাদান সংরক্ষিত থাকে। অর্থাৎ গভীরমূলী ফসলের পর অগভীরমূলী ফসল চাষ করলে মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতা সংরক্ষণ করা যায় বলে কৃষি কর্মকর্তা এ বিষয়টি বিবেচনায় আনতে' বলেন।