উদ্দীপকের আমেনা খাতুন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে মেয়ের বিবাহে খরচ করে অর্থাৎ তার ঋণটি অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয়িত হয়। অপরদিকে জমিলা খাতুন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নার্সারি স্থাপন করেন অর্থাৎ তার ঋণটি উৎপাদন খাতে ব্যয়িত হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষকই দরিদ্র। কৃষি ঋণ ছাড়া অধিকাংশ কৃষকই ভালোভাবে কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে পারে না। আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রেই কৃষি ঋণের সঠিক ব্যবহার হয় না। কৃষকরা দরিদ্র হওয়ায় কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ঋণ গ্রহণ করলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে থাকে। যেমন বিবাহ, ঈদ, পূজা- পার্বণে এই ঋণের অর্থ ব্যয় করা হয়। উদ্দীপকের আমেনা খাতুনের ঋণটিও অণুৎপাদনশীল খাতে ব্যয়িত হয়েছে।

অপরদিকে জমিলা খাতুনের ঋণটি উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হয়েছে। কারণ তিনি নার্সারি স্থাপন করেছেন। অর্থাৎ তিনি কৃষি ঋণের টাকা কৃষি খাতে ব্যয় করেছেন। এ কাজের দ্বারা জমিলা খাতুন অর্থ আয়ের মাধ্যমে তার গ্রহণকৃত কৃষি ঋণ সহজেই পরিশোধ করতে পারবেন যা আমেনা খাতুন পারবেন না।

সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনায় জানা যায় যে, জমিলা খাতুনের গৃহীত ঋণের ব্যবহার যথার্থ হয়েছে। কিন্তু আমেনা খাতুনের ঋণের ব্যবহার যথার্থ হয়নি।