আসিফ মুগ ডালের উন্নত জাত ও চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য জয়দেবপুরের একটি প্রতিষ্ঠানে গেল যা ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সেখানকার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাকে বলল, পরবর্তী বছরে ব্যবহারের জন্য বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে বীজ রাখতে হয়।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসিফকে পরবর্তী বছরে ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন উপায়ে বীজ সংরক্ষণ করে রাখতে বলেন। মাঠ থেকে সংগৃহীত প্রক্রিয়াজাতকৃত বীজ বিভিন্ন পদ্ধতিতে সঠিকভাবে গুদামজাত করে রাখাকে বীজ সংরক্ষণ করা বলে।
বীজ সংরক্ষণের জন্য আসিফ যে উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারে তার মধ্যে ছিল চটের বস্তায়, ডোলে ও মটকায় বীজ সংরক্ষণ। সকল বীজ সংরক্ষণের পূর্বে তা অবশ্যই শুকিয়ে নিতে হবে। বীজ শুকানোর অর্থ হচ্ছে বীজ থেকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা সরানো। আর্দ্রতার মাত্রা ১২-১৩% হলে ভালো হয়। বীজ পোকার উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য বীজের বস্তায় নিমের পাতা, নিমের শিকড়, আপেল বীজের গুঁড়া, বিশকাটালি মিশিয়ে চটের বস্তায় রাখতে হয়। বাঁশ বা কাঠ দিয়ে গোলাকার করে ডোল তৈরি করা হয়। এর ভিতরে ও বাইরে মাটির প্রলেপ দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে বীজ রাখার উপযুক্ত করা হয়। এছাড়া মাটির তৈরি মটকায় বাইরে দিয়ে মাটি বা আলকাতরার প্রলেপ দিয়ে বীজ সংরক্ষণ করা হয়। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসিফকে পরবর্তী বছর ব্যবহারের জন্য এভাবেই বীজ সংরক্ষণ করতে বলেছিল।