কৃষক আশিষ গত বছর থেকে তার জমিতে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছে না। সে এ বছর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাহায্যে জমির মাটি পরীক্ষা করে দেখল এর অম্লমান ৪.০। কৃষি কর্মকর্তা আশিষকে তার জমির সমস্যা দূর করতে রাইজোবিয়াম সার ব্যবহারের পরমার্শ দেন।
উদ্দীপকের কৃষি কর্মকর্তা আশিষকে জমিতে রাইজোবিয়াম সার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
এই সারের রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া শিম জাতীয় উদ্ভিদের শিকড়ে নডিউল সৃষ্টি করে। এই নডিউলযুক্ত মূল রাইজোবিয়াম অণুজীব সার উৎপাদনে সহায়তা করে। রাইজোবিয়াম সার মাটিতে বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে। এতে করে নাইট্রোজেন যৌগ ভেঙে অ্যামোনিয়াম তৈরি করে যা নাইট্রিফিকেশনের মাধ্যমে নাইট্রেটে পরিণত হয়। ফলে মৃত্তিকা দ্রবণে H+ আয়নের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে মাটিতে অম্লত্ব সৃষ্টিকারী নাইট্রোজেনঘটিত রাসায়নিক সার, যেমন- ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম সালফেট, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ইত্যাদি প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। পাশাপাশি মৃত্তিকায় অধিক জৈব পদার্থ যুক্ত করে মৃত্তিকা সংযুক্তির উন্নয়ন ঘটায়। ফলে পানি, বায়ু ও অণুজীবের কার্যক্রম বৃদ্ধি পায় ও অম্লত্ব হ্রাস পায়। তাছাড়া রাইজোবিয়াম অণুজীব সার ব্যবহারে ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। উপযুক্ত ফসল পর্যায় ও ফসল বিন্যাসের জন্য অণুজৈবিক সার বিশেষভাবে উপকারী। তাছাড়া এই সার অনুর্বর ও বেলে মাটিতে প্রয়োগের মাধ্যেমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
পরিশেষে বলা যায়, কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শকৃত রাইজোবিয়াম সারের ব্যবহার মাটির অম্লত্ব হ্রাস ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে যথার্থ।