রওনক তার মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেই এলাকায় অনেক সরিষা ক্ষেত দেখল। একদিন বিকেলে সরিষা ক্ষেতে গিয়ে ক্ষেতের পাশে অনেকগুলো চারকোণা বাক্স দেখতে পেল। সে আরও দেখল বাক্সের ভেতর কিছু পোকা রয়েছে। সে চাষিকে জিজ্ঞাসা করলে চাষি বললো, 'এটি সামাজিক পতঙ্গ যা সরিষার পরাগরেণু খেয়ে থাকে।' চাষি আরও বললো, 'এ পতঙ্গের অনেক অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।'
রওনক যে পতঙ্গটি দেখল তা হলো মৌমাছি। এটি বসন্তকালে চাষ করা অনেক সুবিধাজনক।
বসন্তকালে বাংলাদেশে প্রায় সব ধরনের গাছে ফুল আসে। এ ঋতুর আবহাওয়া মৌমাছিদের কাজের জন্য সবচেয়ে ভালো। এ সময় মৌমাছিরা সূর্য উঠার আগেই কাজ শুরু করে দেয়। এমনকি সূর্য ডোবার পরও তারা কাজ করে থাকে। অন্য কোনো ঋতুতে মৌমাছিরা এত ব্যস্ত থাকে না বা কাজ করে না। বসন্তকালে প্রতি সপ্তাহে একবার কোনো কোনো এলাকায় দুইবার মধু নিষ্কাশন করা হয়। প্রাকৃতিক কোনো অনিয়ম যেমন- গ্যাস বা বিষাক্ত দ্রব্য ব্যবহার, জ্বালানির মাধ্যমে গ্যাস তৈরি, যুদ্ধ- বিগ্রহ ইত্যাদি না হলে এ ঋতুতে একটি বাক্স হতে ২০-২৫ কেজি পর্যন্ত মধু উৎপাদন করা সম্ভব।
তাই বলা যায়, রওনকের দেখা পতঙ্গটি বসন্তকালে চাষের জন্য সুবিধাজনক।