জনাব আরিফ ও তার ছয় বন্ধু একত্রিত হয়ে ৯০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে আনন্দ ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায় গঠন করেন। আরিফ ও তার বন্ধু রিপন পরিচালক নিযুক্ত হন। তাদের সঠিক পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা পরিচালকের সংখ্যা ও মূলধন বৃদ্ধিসহ ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ লক্ষ্যে তারা জনগণের মাঝে উচ্চহার সুদের ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগ নেন।
উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায়টির ধরন হলো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।
যে কোম্পানির সদস্যসংখ্যা ন্যূনতম দুই এবং সর্বোচ্চ পঞ্চাশজনে সীমাবদ্ধ, শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং আইনানুযায়ী জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রয়ের আহ্বান জানানো যায় না তাকে প্রাইভেট লি. কোম্পানি বলে। এটি আইনসৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী চিরন্তন অস্তিত্ববিশিষ্ট ব্যবসায় সংগঠন।
উদ্দীপকের জনাব আরিফ ও তার ছয়জন বন্ধু মিলে ৯০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে আনন্দ ট্রেডার্স নামক একটি প্রাইভেট লি. কোম্পানি গঠন করেন। জনাব আরিফ ও তার এক বন্ধু এ ব্যবসায়ের পরিচালক। প্রাইভেট লি. কোম্পানিতে শেয়ার অবাধে হস্তান্তর করা যায় না এবং জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রয়ের আহ্বান জানানো যায় না বলে ব্যবসায় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়ে অর্থসংস্থানজনিত অভাবের দরুন তারা পিছিয়ে এসেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে জনাব আরিফ ও তার ছয় বন্ধু কর্তৃক গঠিত প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায়টি প্রাইভেট লি. কোম্পানি।