রতন তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে টাঙ্গাইলে 'বিডি ফার্নিচার' নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন। তাদের প্রাথমিক মূলধন ১০ কোটি টাকা। সকলের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য তারা ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে জনগণের মাঝে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করতে চায়।
আমার মতে, প্রতিষ্ঠানটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা না গেলে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না।
যে কোম্পানির সদস্যসংখ্যা সর্বনিম্ন ৭ এবং সর্বোচ্চ স্মারকলিপিতে উল্লেখ শেয়ারসংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ, শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য এবং শেয়ার ও ঋণপত্র জনগণের উদ্দেশ্যে বিক্রয়ের জন্য আহ্বান জানানো যায় তাকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলে।
উদ্দীপকের রতন ও তার বন্ধুরা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করায় তাদের সদস্যসংখ্যা কম ছিল। এজন্য তাদের মূলধনের পরিমাণও কম ছিল। দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে তাদের লাভ বাড়তে থাকায় তারা প্রতিষ্ঠানটির আয়তন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির গঠনগত সীমাবদ্ধতা অর্থাৎ জনগণের নিকট শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রি করতে না পারায় অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহ করতে পারছে না। এমতাবস্থায় তারা যদি প্রতিষ্ঠানটির গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করে তাহলে তারা জনগণের নিকট শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করে ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে পারবে। তবে যেহেতু পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গড়তে কমপক্ষে সাতজন সদস্য ও কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র লাগবে। সেহেতু রতন ও তার বন্ধুদের পক্ষে এ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার বিলির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না।
সুতরাং বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বিধায় শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না। তবে সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি ও কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহপূর্বক উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা সম্ভব হলে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করা যাবে।