মাশরাফি ও তার ৬ বন্ধু মিলে এমন একটি ব্যবসায় সংগঠন গঠন করার জন্য পরিকল্পনা করে যাতে জনগণ থেকেও মূলধন সংগ্রহ করা সম্ভব। তাই তারা প্রয়োজনীয় দলিলপত্রসহ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে একটি সনদ ইস্যু করেন। কিন্তু ব্যবসায় শুরু করার জন্য আরও দলিলপত্রসহ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য মাশরাফিদের করণীয় হলো কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
নিবন্ধনপত্র সংগ্রহের পর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি তার কাজ শুরুর পূর্বে নিবন্ধক থেকে অনুমতি লাভের জন্য যে আনুষ্ঠানিকতা পালন করে এ পর্যায়কেই কার্যারম্ভ পর্যায় বলে। কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহের জন্য পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ১৫০ ধারা অনুসারে কিছু বিধান পালন করতে হয়।
উদ্দীপকের মাশরাফিদের কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র আবশ্যক। কেননা কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র ব্যতীত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পারে না। এ জন্যে তাদেরকে বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হবে। এ পর্যায়ে মাশরাফিদের বড় কাজ হলো প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করা। এজন্য স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে প্রতিশ্রুত অর্থ ও পরিচালকগণের নিকট থেকে যোগ্যতাসূচক শেয়ারের অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনে জনগণ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য বিবরণপত্র প্রস্তুত করতে হবে। অবশ্য সেক্ষেত্রে বিবরণপত্র প্রচারের পূর্বে নিবন্ধক এবং প্রয়োজনে Stock Exchange Commission (SEC)-এর অনুমতি নিতে হবে। নিজেদের মধ্য থেকে পর্যাপ্ত অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হলে বিবরণপত্রের অনুরূপ বিকল্প বিবৃতি নিবন্ধকের নিকট জমাদানের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করতে হবে। অতঃপর কোম্পানি আইনের ১৫০ (১) ধারা অনুযায়ী নিবন্ধকের নিকট নিম্নোক্ত দলিলাদি পেশ করতে হবে:
(ক) পরিচালকগণ তাদের প্রতিশ্রুত শেয়ার নগদে ক্রয় করেছেন এ মর্মে ঘোষণাপত্র;
(খ) সংঘবিধিতে উল্লেখ ন্যূনতম মূলধন সংগৃহীত হয়েছে এ মর্মে ঘোষণাপত্র এবং
(গ) বিবরণপত্র বা বিবরণপত্রের বিকল্প বিবৃতির কপি।
উক্ত দলিলাদি প্রাপ্ত হয়ে নিবন্ধক সন্তুষ্ট হলে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র (Cerificate of commencement) প্রদান করবে।
সুতরাং, উদ্দীপকে উল্লিখিত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য মাশরাফিদের করণীয় হলো কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।