উদ্দীপক-১: ছগির মিয়া মানুষদের ঠকিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। কিন্তু তার অবৈধ সম্পদের সকল গোপন রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। অবশেষে শাস্তির ভয়ে স্থাবর-অস্তাবর সম্পত্তি ছেড়ে বিদেশে চলে যায়।
উদ্দীপক-২:
"আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা
আমি বাঁধি তার ঘর
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই
যে মোরে করেছে পর।"
কর্মহীন জীবন সুখী নয়। প্রকৃত সুখ প্রত্যাশী মাত্রই পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনপথে এগিয়ে যায়। তারা আকাশ-পাতাল কল্পনা করেও জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করে না। তারা মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করে।
উদ্দীপকে জীবন চলার পথে নানা সমস্যা-জটিলতা মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দানে কিছু যুক্তি প্রদান করা হয়েছে। নিরাশ হয়ে ওষুধ না খেলে যেমন রোগ আরও বৃদ্ধি পায়, তেমনই পর্বতে আরোহণ করে ভয়ে মাথা ঘুরে গেলে নিচে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। কাজেই তুফানের ভয়ে মাঝির হাল ছেড়ে দেওয়া যেমন উচিত নয়, তেমনই বিপদের ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়াও যৌক্তিক কাজ নয়। আশা ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই প্রকৃত কর্মীর সাফল্যের উপায়। 'আশা' কবিতার সঙ্গে এ দিকটির মিল রয়েছে। এ দিকটি ছাড়াও এ কবিতায় আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলো উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি।
'আশা' কবিতায় কবি গতানুগতিক জীবনের বাইরে এসে নিরন্ন মানুষের জীবনের সুখের সঙ্গে শরিক হতে চেয়েছেন। এ বিষয়টি উদ্দীপকে নেই। 'আশা' কবিতায় কবি সেসব মানুষের সান্নিধ্য প্রত্যাশা করেছেন, যারা বিত্ত-বৈভব অর্জনের জন্য দুর্ভাবনায় নিজেদের আয়ু কমায় না, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনন্দানুভূতিকে বাঁচার অবলম্বন করে সুখ অনুভব করে, যারা কষ্টেও হাসতে পারে এবং সারা দিন কাজের পর নির্ভাবনায় ঘুমাতে পারে। উদ্দীপকে এসব বিষয় নেই। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।