মি. পলের গাড়ি কেনার মতো সামর্থ্য না থাকায় তিনি নাটোরে একটি পোল্ট্রি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ফার্মের উৎপাদিত ডিম ও মাংস উন্নতমানের হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা বিদ্যমান। উত্তরোত্তর ব্যবসায়ের সাফল্যের ফলে তিনি একটি গাড়ি ক্রয় করেন। গাড়িটি তিনি ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করেন। চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি রাজশাহীতে- একটি বৃহত্তম ফার্ম প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যেখানে ১,০০০ জন শ্রমিক কর্মরত থাকবেন। 

এস. আলম দিনাজপুরের একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। বর্তমানে তাঁর বিভিন্ন ব্যাংকে লেনদেনের সুনাম আছে। সম্প্রতি তিনি মনে করছেন তার একটি গাড়ি থাকা দরকার। গাড়ি থাকলে ব্যবসা ও অন্যান্য কাজকর্ম অতি অল্প সময়ে সহজেই করা সম্ভব। তাই গাড়ি ক্রয়ের জন্য তিনি সোনালী ব্যাংকে ২০ লক্ষ টাকার একটি চেক পাঠান। 

জনাব সায়েম 'আপন পিঠা ঘর' নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তিনি সবসময় ক্রেতাদের চাহিদা, রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী পিঠা তৈরি করেন এবং বিভিন্ন হোটেল-রেস্তরাঁয় তা সরবরাহ করেন। মান ভালো হওয়ায় তার তৈরিকৃত পিঠার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন তিনি ব্যবসায় সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন। 

বাগদা চিংড়ি চাষের জন্য বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলা 
অত্যন্ত বিখ্যাত। প্রতিবছর এ চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় বাগেরহাটের প্রকৃত চিংড়ি চাষিরা এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত। একথা ভেবে জনাব হিমেল বাগেরহাটে একটি অত্যাধুনিক হিমাগার স্থাপন করেছেন। ফলে চাষি এবং ভোক্তা উভয় শ্রেণিই চিংড়ি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে। 

জনাব শরীফ একজন ক্ষুদ্র 
ব্যবসায়ী। তিনি মুড়ি, চিড়া দিয়ে বিভিন্ন রকমের মোয়া, নারিকেল, ও তিল দ্বারা রকমারি সন্দেশ তৈরি করে বাজারে বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করেন। ক্রেতারা তার পণ্য আগ্রহের সহিত ক্রয় করেন। জনাব শরীফ সব সময় ক্রেতাদের রুচি, চাহিদা ও সন্তুষ্টির প্রতি গুরুত্ব দেন। এতে করে দিন দিন তার ব্যবসায়ে মুনাফা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি এলাকাতে সুনামও অর্জিত হচ্ছে। শরীফ ভবিষ্যতে ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের চিন্তা করছেন। 

পঞ্চগড় জেলা শুধু পাথর ব্যবসায়ের জন্যই বিখ্যাত নয়, 
এখানে আছে বড় বড় চা বাগান। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য তেঁতুলিয়া একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং বিনোদন স্পট। জনাব আরহাম সম্প্রতি তেঁতুলিয়াতে বেড়াতে যান। তিনি 'মোহনা' নামক একটি হোটেলে উঠেন। কিন্তু এই হোটেলে টিভি, ইন্টারনেট এবং গরম পানির ব্যবস্থা ছিল না। তাই পরদিন তিনি হোটেল 'সুগন্ধায়' উঠেন। এই হোটেল সবধরনের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। পূর্বের হোটেলের তুলনায় ১৫% বেশি খরচ হলেও তিনি এখানে অবস্থান করে আরামদায়ক ভ্রমণ উপভোগ করেন। 

ঝিনাইদহ জেলার চণ্ডিপুর গ্রামের মোহন মিয়া একজন 
'আপেলকুল' চাষি। তিনি ক্রেতার চাহিদার ওপর ভিত্তি করে 'আপেলকুল' চাষ করেন। ঐ এলাকার ভূমি আপেলকুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এটির দেশে-বিদেশে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে তিনি দেশের চাহিদা মিটিয়ে উক্ত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেন। অল্পসময়ের মধ্যে মোহন মিয়া আপেলকুল চাষ করে প্রতিষ্ঠিত হন। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই আপেল কুল চাষ শুরু করেছে। ফলে এলাকার চাষিরাও ধীরে ধীরে সফলতার দিকে এগুচ্ছে। 

জনাব মারুফ একজন বেকারি ব্যবসায়ী। তিনি কারখানায় নিজ পরিচালনায় বিস্কুট, চানাচুর, কেক, পাউরুটি তৈরি করে বাজারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রয় করেন। ক্রেতা সন্তুষ্টি তার ব্যবসায়ের মূল লক্ষী। সেজন্য ক্রেতার চাহিদা ও রুচি অনুযায়ী তিনি পণ্য উৎপাদন করেন। ফলশ্রুতিতে ব্যবসায়ে তার সুনাম দিন দিন অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
 

জনাব মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন কুয়েত থাকার পর দেশে এসে সাভারে একটি ডেইরি ফার্ম শুরু করেন। শুরুর দিকে লাভ না হলেও এখন তার খামারে উৎপাদিত দুধের চাহিদা অনেক। কিছুদিন আগে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় কেন্দ্র খুলে তিনি দুধ বিক্রয় শুরু করেন। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে অভিজ্ঞ বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দেন। বাড়তি চাহিদা মেটানোর জন্য মিজানুর রহমান এখন নতুন আরেকটি ডেইরি ফার্ম চালু করার চিন্তা করছেন। 

জনাব আকবর দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় 
পরিচালনা করছেন। তিনি দেশীয় খাবারের সাথে থাই ও চাইনিজ খাবার পরিবেশন করেন। রুচিসম্মত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার পরিবেশনে তিনি সবসময় সচেষ্ট। বর্তমানে একই এলাকায় জনাব তারিক আরেকটি রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। জনাব তারেক সরাসরি কৃষক ও খামারীদের নিকট হতে তাজা শাক-সবজি ও মাছ-মাংস সংগ্রহ করে তার রেস্টুরেন্টে রুচিসম্মত খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতার দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এতে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।