করিম তার জমিতে সরিষা বীজ বপন করার পূর্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জমি পরিদর্শনে এসে বললেন, তার জমির মাটিতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় মাটির সংযুতি দুর্বল এবং কর্দমকণা ও জৈব পদার্থের পরিমাণ কম। তিনি এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বললেন। তিনি আরো বললেন, ডক্টরস ফাংগাস প্রয়োগ করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
কর্মকর্তা জমিতে 'ডক্টরস ফাংগাস' দিতে বলেন। ট্রাইকোডারমাকে ডক্টরস ফাংগাস বলা হয়। এর সুবিধা হলো-
i. মাটির গঠন ও বুনট উন্নত করে, ফলে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং কৃষকের আর্থিক সাশ্রয় হয়।
ii. মাটির অম্লত্ব, লবণাক্ততা, বিষক্রিয়া প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। ইহা গ্লিয়টক্সিন নামক বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে পিথিয়াম নামক ক্ষতিকারক ছত্রাকের উপর বিশেষ কাজ করে উহার বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়।
iii. ট্রাইকোডারমা পরিবেশ রক্ষায় খুবই ফলপ্রসূ, কমপক্ষে ৩০% রাসায়নিক সার সাশ্রয় হয়।
iv. ট্রাইকোডারমা দ্বারা বীজ শোধন করলে অনেক রোগের আক্রমণ কমে যায়। পিথিয়াম, রাইজোক্টনিয়া জাতীয় জীবাণু, চারা ধসা রোগ, গোড়া পচা রোগ, পাতা ধসা রোগ দমনে এটি খুবই কার্যকর।
V. মাটিতে বসবাসকারী অন্যান্য উপকারি অণুজীবের সংখ্যা বৃদ্ধি করে মাটিকে দ্রুত উর্বরতা দান করে। ফলে ফসলের গুণগতমান ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
vi. স্বাভাবিক জৈব সার পচতে যেখানে ৬ মাস সময় নেয় সেখানে ট্রাইকোডারমা সময় নেয় মাত্র এক থেকে দেড় মাস।
ট্রাইকোডার্মা জৈব সার উৎপাদন, উদ্ভিদের রোগ দমন ও পরিবেশ সুরক্ষা করে বলে কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্যটি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।