সিয়ামের কলেজের কৃষি শিক্ষক সাইফুল স্যার তাদের সঠিক পদ্ধতিতে আলু বীজ উৎপাদন সম্পর্কে পড়ান। সিয়াম তার বাবাকে পদ্ধতিগুলো জানায়। তার বাবা সফলতার সাথে আলুবীজ উৎপাদন করে বাজারজাত করে। সিয়ামের বাবা এলাকার অন্য কৃষকদেরও আলু বীজ উৎপাদনের পরামর্শ দেন।
উদ্দীপকের সিয়ামের বাবা আলু বীজ উৎপাদন করে সফলতা অর্জন করেন কারণ তিনি আলু বীজ উৎপাদনে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করেন।
সিয়ামের বাবা আলুর জন্য উপযুক্ত জমি নির্বাচন করেন কারণ সব জমিতে সব ফসল ভালো হয় না। এছাড়া তিনি সঠিক পৃথকীকরণ দূরত্ব অনুসরণ করেন। অর্থাৎ বীজ ফসলের জমি থেকে একই জাতের ফসলের জমি নিরাপদ দূরত্বে রাখেন। এতে করে বীজ ফসলের বিশুদ্ধতা ঠিক থাকে। তিনি সঠিক সময়ে বীজ বপন করেন কারণ বীজ বপনের সময়ের উপর বীজের মান ও ফসলের ফলন নির্ভর করে। তিনি বীজ ফসলের জমি থেকে নির্বাচিত ফসলের জাত ছাড়া অন্য জাতের ফসলের গাছ তুলে ফেলেন। একে বলা হয় রোগিং। এর ফলে বীজ আলুর বিশুদ্ধতা রক্ষা পায়। রোগ ও পোকামাকড় সঠিক পদ্ধতিতে দমন করেন কেননা ফসলের বীজ রোগে আক্রান্ত হলে বীজের বিশুদ্ধতা থাকে না। অবশেষে বীজের গুণগতমান ভালো হওয়ার জন্য সঠিক সময়ে বীজ সংগ্রহ করেন।
অতএব বলা যায় সঠিক পদ্ধতিতে সিয়ামের বাবা আলু বীজ উৎপাদন করার জন্য সফলতা অর্জন করেন।