Job

Focus Writing in Bangla: "বাংলাদেশের ভূমিকম্পঃ বিপর্যয় ও ব্যবস্থাপনা" সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ রচনা করুন।

dsuc.created: 2 years ago | dsuc.updated: 1 year ago
dsuc.updated: 1 year ago

                                                                                                                  বাংলাদেশের ভূমিকম্পঃ বিপর্যয় ও ব্যবস্থাপনা

ভূ- অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁদে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প (Earthquake) ব বাংলাদেশের ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যে কোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের দুই দিকের গঠনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়েছে। একটা হচ্ছে উত্তরপূর্ব কোণে সিলেট অঞ্চলে ডাইকি ফন্টে, আরেকটা হলে পূর্বে চিটাগাং ত্রিপুরা বেল্টে পাহাড়ি অঞ্চলে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের খুব কাছে ডাউকি ফল্ট এবং ইউরেশি ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলের অবস্থান হওয়ায় এ অঞ্চল ভূমিকম্পের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্পের তীব্রতা বা ক্ষয়ক্ষি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দালানকোঠার নির্মাণ, গঠন, উপাদান, উচ্চতা ইত্যাদির ভূমিকা রয়েছে। অনেক সময় ভূকম্পনের দোলনের ফলে বাড়ি ভেঙ্গে পড়তে পারে। ভূমিকম্পের সাবধানতা অবলম্বনে ভূমিকম্পের আগে, ভূমিকম্পকালে এবং ভূমিকম্পের পর কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় এবং করণীয় পালন করতে হয়। 

১. বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রের ভেতরে ও বাইরে নিরাপদ স্থানগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এবং লক্ষ্য রাখতে হবে আশপাশে কোন ফার্নিচার বা মেশিনপত্র গায়ে পড়ার মত জিনিস না থাকে। 

২. অন্ধকারে দেখার জন্য হাতের কাছে টর্চ রাখতে হবে। গ্যাস ও বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি নিরাপদে রাখতে হবে এবং এগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং গ্যাস সংযোগে কোন প্রকার ত্রুটি না থাকে। 

৪. দেয়ালের ঝুলানো আয়না, ছবি ও সামগ্রি বিছানা থেকে দুরে রাখতে হবে। 

৫. গ্যাস, বিদ্যুৎ যাবতীয় সংযোগ এর চাবি কিভাবে বন্ধ করতে হবে তার প্রশিক্ষণ নিয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

৬. প্রাথমিক চিকিৎসার সামগ্রী হাতের নিকটে প্রস্তুত রাখতে হবে। 

৭. ভূমিকম্প হওয়ার সময় ড্রপ, কাভার ও হোল্ড অন পদ্ধতিতে মেঝেতে বসে পড়তে হবে এবং মজবুত আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিতে হবে এবং হেলমেট পরে বা হাত দিয়ে মাথাকে আঘাত থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করতে হবে। 

৮. বহুতল ভবনের ওপরের দিকে অবস্থান করলে ভূমিকম্পের সময় দৌড়াদৌড়ি না করে ভূমিকম্প থামা পর্যন্ত ঘরের ভেতরে থাকাই ভালো এবং ভূকম্পন থেকে গেলে সিঁড়ি দিয়ে ধিরে নামতে হবে। কোন ভাবেই লিফট ব্যবহার করা যাবে না। 

৯. ভূমিকম্পের সময় বাইরে থাকলে খোলা যায়গায় আশ্রয় নিতে হবে এবং বহুতল ভবন, পাহাড়-পর্বত থেকে দূরে অবস্থান করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে ব্রিজ এবং ফ্লাইওভারে যাতে না থামা হয়। 

১০. ভূমিকম্পের পরে নিজে আহত কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে এবং অপরকে সাহায্য করতে হবে। গ্যাস এর গন্ধ বের হলে চেষ্টা করতে হবে জানালা দিয়ে অথবা সুরক্ষিত পথ দিয়ে তারাতারি বের হয়ে যেতে এবং বিদ্যুৎ স্পর্কিত হলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে। এবং অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেতে হাতমোজা, জুতা, ফুলশার্ট এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদিসহ নামতে হবে যাতে কোন প্রকার আঘাত না লাগে এবং শরীরে যাতে আগুন না লাগে সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

১১. ভূমিকম্পের পরে কোন ভাবেই আগুন জ্বালানো যাবে না। বেশি বিপদে থাকলে বের হতে না পারলে উদ্ধারের অপেক্ষায়। থাকুন এবং বাঁচার আশা ত্যাগ করা যাবে না। 

১২. ভূমিকম্প হলে যাবতীয় করণীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখতে হবে। এবং পর্যাপ্ত উদ্ধারতৎপরতা অব্যাহত রাখার। মনোমানসিকতা থাকতে হবে। 

১৩. ফায়ার সার্ভিসের ফোন নম্বর এবং বিভিন্ন সংগঠনের যাবতীয় যোগাযোগের ব্যবস্থা এবং ফোন নাম্বার রাখতে হবে।

1 year ago

বাংলা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion