তথ্য-১: মিঃ সাইদ বৃক্ষপ্রেমী মানুষ। বাড়ীর আঙ্গিনায় ফলের ও ফুলের বাগান করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি ফলের গাছগুলো একদিকে ও ফুলের গাছগুলো অন্যদিকে লাগিয়েছেন যাতে তার কাজের সুবিধা হয়।
তথ্য-১: মিঃ সাইফ প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। তিনি তার বাড়ীর আঙ্গিনায় বিভিন্ন রকমের গাছ লাগিয়েছেন। তার বাগানে ঘুরলে সপুষ্পক ও অপুষ্পক -এই দুই শ্রেণির উদ্ভিদ দেখা যায়।
উদ্দীপকে তথ্য-১ এর দৃষ্টান্তটি কৃত্রিম শ্রেণিকরণ প্রকাশ করেছে। নিচে কৃত্রিম শ্রেণিকরণ ব্যাখ্যা করা হলো-
যে শ্রেণিকরণ প্রক্রিয়ায় কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য গঠনের নিমিত্তে গুরুত্বহীন, অপ্রয়োজনীয়, অনাবশ্যক ও বাহ্যিক সাদৃশ্যের ভিত্তিতে বস্তু বা ঘটনাসমূহের যে বিন্যাস করা হয়, তাকে কৃত্রিম শ্রেণিকরণ বলে। কৃত্রিম শ্রেণিকরণের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে ভোলানাথ রায় তাঁর Text book of Inductive Logic' গ্রন্থে বলেন।
"Artificial Classification on the other hand is the mental grouping of facts, according to some points of similarity, selected arbitrarily, for a special purpose, it is called special classification or classification for special purpose."
বস্তুত কৃত্রিম শ্রেণিকরণে কোনোরূপ প্রাকৃতিক বা বৈজ্ঞানিক নিয়ম অনুসরণ করা হয় না। এ শ্রেণিকরণে প্রাকৃতিক বা বৈজ্ঞানিক কোনো নীতি অনুসরণ না করেই সাদৃশ্যের মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে ব্যক্তিবিশেষের ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও ব্যবহারিক সুবিধা অনুযায়ী কতগুলো বাহ্যিক ও গুরুত্বহীন সাদৃশ্য শ্রেণিকরণের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ- কোনো গ্রন্থাগারের গ্রন্থসমূহ আকৃতিগত, বিষয়বস্তুগত, বা ভাষাগত সাদৃশ্যের ভিত্তিতে বিন্যস্তকরণই হচ্ছে কৃত্রিম শ্রেণিকরণ।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, বৈজ্ঞানিক নীতি অনুসরণ না করে ব্যবহারিক প্রয়োজন এবং প্রয়োগিক সুবিধা লাভের জন্য যে শ্রেণিকরণ করা হয় তাই কৃত্রিম শ্রেণিকরণ।