মিতুর বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন অনেক বেশি। তাই সে ডাক্তার কামরুন নাহারের শরাণাপন্ন হয়। ডাক্তার বলেন, শারীরিক পরিশ্রম ও অন্যান্য বিষয়ের ওপর শক্তির চাহিদা নির্ভর করে। কাজেই শক্তির চাহিদা অনুযায়ী ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত।
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত- ডাক্তারের এ বক্তব্যটি যথার্থ বলে আমি মনে করি।
কোনো ব্যক্তির শক্তির সমতা বজায় রাখতে হলে দৈনিক যে পরিমাণ শক্তি ব্যয় হয়, অন্ততপক্ষে ঐ পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করতে পারে এরূপ আহার প্রতিদিন গ্রহণ করতে হবে।
সাধারণত দৈহিক পরিশ্রমের তারতম্যের জন্য শক্তির চাহিদা ভিন্ন হয়। যেমন-হালকা কাজের জন্য মৌল বিপাকের ৫০% শক্তি খরচ হয়, মাঝারি বা স্বাভাবিক কাজের জন্য ৭৫% এবং ভারি কাজের জন্য ১০০% শক্তি খরচ হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়। এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন বয়সে বর্ধনের গতি ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় ক্যালরির চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হয়। আবার দেহপৃষ্ঠের আকৃতির ওপর শক্তির চাহিদা নির্ভর করে। লিঙ্গভেদে মৌল বিপাক হার ভিন্ন হয়। তাই শক্তি চাহিদায়ও তারতম্য হয়।
সম্পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায়ও দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গের কাজ অব্যাহত থাকে। তাই শক্তির ক্ষয় হতে থাকে। এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী কাজের ধরন, শারীরিক পরিশ্রম ইত্যাদি ভেদে শক্তির চাহিদা যতটুকু প্রয়োজন তার অধিক হলে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা মিতুর ক্ষেত্রে ঘটেছে। এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করা প্রয়োজন। যাতে অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে মেদ আকারে জমে না থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শটি আমি যথার্থ বলে মনে করি।