Academy

রোজী বেগমের মেয়ে নিতুর বয়স ১২ বছর। সে মাংস ও ফাস্টফুড খেতে পছন্দ করে। লেখাপড়া ছাড়া ঘরের তেমন কোনো কাজকর্ম করে না। তাই এ বয়সে তার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এ কারণে রোজী বেগম অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।

উদ্দীপকের আলোকে নিতুর খাদ্যের শক্তিমূল্য ও দৈহিক ওজনের তুলনামূলক মূল্যায়ন করো। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 7 months ago | dsuc.updated: 7 months ago
dsuc.updated: 7 months ago

যেসব খাদ্যে বেশি ক্যালরি পাওয়া যায় সেসব খাদ্যের শক্তিমূল্য বেশি হয়। খাদ্যের প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি দহনের ফলে কর্মশক্তি ও তাপ উৎপন্ন হয়। খাদ্যোপাদানগুলোর রাসায়নিক শক্তির শতকরা ২০ ভাগ কর্মশক্তিতে ও ৮০ ভাগ তাপ হিসেবে বের হয়। ১ গ্রাম প্রোটিন ৪ ক্যালরি, ১ গ্রাম স্নেহ পদার্থ ৯ ক্যালরি এবং ১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ৪ ক্যালরি শক্তি উৎপাদন করে।

জীবদেহের প্রধান চাহিদা হচ্ছে শক্তির চাহিদা। খাদ্যের মধ্যে অবস্থিত শক্তির তুলনায় কর্মসম্পাদনে যদি বেশি শক্তি খরচ হয়, তাহলে দেহ নিজের জমাকৃত অংশবিশেষ দগ্ধ করে শক্তি সরবরাহ করে। আবার খাদ্যের তুলনার দেহে যদি কম শক্তি খরচ হয়, তবে খাদ্যের রাসায়নিক শক্তি চর্বির আকারে দেহের নানা অংশে সঞ্চিত থাকে। অর্থাৎ, দেহের প্রয়োজনের তুলনার কম খাদ্য গ্রহণ করলে দেহের ওজন হ্রাস পায় এবং দেহের প্রয়োজনের তুলনার বেশি খাদ্য গ্রহণ করলে ওজন বেয়ে যায়।

নিতু মাংস ও ফাস্টফুড খেতে পছন্দ করে। এ জাতীয় খাদ্যের শক্তি মূল্য অধিক। অথচ নিতু লেখাপড়া ছাড়া ঘরের তেমন কোনো কাজ করে না বললেই চলে। দেহের প্রয়োজনের তুলনার বেশি খাদ্য গ্রহণ করার ফলে নিতুর ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। অর্থাৎ নিতুর গৃহীত খাদ্যের শক্তিমূল্য দৈহিক ওজনের সাথে ভারসাম্যহীন।

7 months ago

গার্হস্থ্যবিজ্ঞান

Please, contribute to add content.
Content
Promotion