জনাব ইকবাল একজন ব্যবসায়ী। তিনি সৎভাবে ব্যবসা করেন। পণ্যে ভেজাল দেন না। মানুষের সাথে মিথ্যা বলে প্রতারণা করেন না। বছর শেষে শরিয়ত নির্ধারিত হারে জাকাত প্রদান করেন। অপরদিকে জনাব সোবহান মানুষকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো কাজ করেনি। এমনকি এলাকাবাসীকে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেনি।
ইসলামি অর্থব্যবস্থার আলোকে জনাব ইকবাল সাহেব আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশিত পথে তার ব্যবসা পরিচালনা করছেন, যা নিঃসন্দেহে একজন মুমিন ও মুত্তাকি ব্যক্তির কর্মকান্ডের শামিল। জনাব ইকবাল একজন সৎ ব্যবসায়ী। তিনি পণ্যে ভেজাল দেন না আর মানুষের সাথে মিথ্যা বলে, প্রতারণা করে ব্যবসা করেন না। অর্থাৎ তিনি সৎভাবে ব্যবসা করেন। কারণ
রাসুল (স) বলেন- من غَشَ فَلَيْسَ مِنَّا
অর্থ: যে প্রতারণা করে সে আমার উম্মত নয় (তিরমিজি-১৩১৫)।
রাসুল (স) ব্যবসা-বাণিজ্য করার প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেন- 'ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে রিজিকের দশ ভাগের নয় ভাগ জীবিকা রয়েছে।' কাজেই সৎভাবে ব্যবসা করার ফজিলত অপরিসীম। রাসুল (স) আরো বলেন- 'সৎ বিশ্বস্ত মুসলিম ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন শহিদদের সঙ্গী হবেন' (মুসতাদরাকে হাকিম)।
জনাব ইকবাল তার সম্পদ থেকে আল্লাহর নির্ধারিত জাকাতও প্রদান করেন। কেননা তিনি জানেন তার সম্পদে গরিব ও বঞ্চিত লোকদের হক বা অধিকার রয়েছে। যা আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আর তিনি এটাও জানেন যে, জাকাত প্রদান করলে সম্পদ কমে না বরং তা পবিত্র হয় এবং বৃদ্ধি পায়। জাকাত প্রদান ইসলামি অর্থব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য যা জনাব ইকবাল প্রদান করে থাকেন। সুতরাং বলা যায় জনাব ইকবালের কর্মকাণ্ড শরিয়তসম্মত। এ ধরনের কর্মকাণ্ডই মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি হাসিল করতে পারে।