Academy

জনাব ইকবাল একজন ব্যবসায়ী। তিনি সৎভাবে ব্যবসা করেন। পণ্যে ভেজাল দেন না। মানুষের সাথে মিথ্যা বলে প্রতারণা করেন না। বছর শেষে শরিয়ত নির্ধারিত হারে জাকাত প্রদান করেন। অপরদিকে জনাব সোবহান মানুষকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো কাজ করেনি। এমনকি এলাকাবাসীকে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেনি।

জনাব সোবহানকে ইসলামি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি বলা যায় কি? মতামত প্রদান করো। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

 না, নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় জনাব সোবহানকে ইসলামি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি বলা যায় না। জনাব সোবহান সাহেব একজন কাউন্সিলর। তিনি তার নির্বাচনি এলাকায় মানুষের কাছে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছেন। জনগণ তাকে বিশ্বাস করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর তার চেহারার পরিবর্তন হলো। তিনি নির্বাচনের পর নির্বাচনি ওয়াদা মনেও রাখেননি এবং পালনও করেননি। একটি ইসলামি রাষ্ট্রে একজন জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি কখনোই এমন কর্মকাণ্ড করতে পারে না।

ইসলামি রাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধিকে তাকওয়ার অধিকারী হতে হয় বা তিনি মুত্তাকি হবেন_ অন্যদিকে জনাব সোবহান একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারক, তার মধ্যে আল্লাহভীতি নেই বিধায় জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন। আবার ইসলামি রাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধি আমানতদার হবেন, যিনি সরকার হতে প্রাপ্ত সম্পদ যথাযথভাবে জনগণের সেবায় কাজে লাগাবেন। সমাজ ও দেশের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করবেন। পক্ষান্তরে সোবহান সাহেব একজন মুনাফিক। তিনি জনগণের টাকা বা সরকার হতে প্রাপ্ত সম্পদ নিজের জন্য কুক্ষিগত করেছেন।

ইসলামি রাষ্ট্রে একজন প্রতিনিধি মানুষের নিকট আস্থাভাজন হবেন। কেননা মানুষ তাদের সুখ-দুঃখ ও সমস্যার সমাধানের জন্য তার কাছে ছুটে আসবে। তিনি তার সাধ্যমতো তা সমাধানের চেষ্টা করবেন। পক্ষান্তরে সোবহান সাহেব নির্বাচনের পর আর এলাকায় আসেননি এবং মানুষের সমস্যা সমাধানেরও কোনো চেষ্টা করেননি। এক্ষেত্রে তাকে ওয়াদা ভঙ্গকারী বা মুনাফিক বলা যেতে পারে। পরিশেষে বলা যায়, ইসলামি রাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধি হিসেবে জনাব সোবহানের যে গুণাবলি থাকা দরকার তার কোনোটাই তার মধ্যে নেই। তাই তাকে ইসলামি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি বলা যায় না।

9 months ago

ইসলাম শিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion