নাবিলা তার বোন নাফিসাকে বলল, ইসলামি শাসনব্যবস্থা সকল মানুষের জন্য কল্যাণকর। ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে সকল ক্ষেত্রে আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। সর্বত্র দীনি পরিবেশ স্থায়িত্ব লাভ করবে। নাফিসা বলল, বুঝলাম, কিন্তু নারীদের কী অবস্থা হবে? গার্মেন্টস শ্রমিকরা কী করে আয় করবে? নাবিলা বলল, তোমার প্রশ্নটা অবান্তর। ইসলামি রাষ্ট্রে নারীরা শালীন পরিবেশে বৈধভাবে আয় করতে পারবে। ইসলামি রাষ্ট্রে নারীদের ইজ্জত-আবরু হেফাজত করা হয় এবং নারীদের সম্মানজক বেতন ও সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।
নাবিলার বক্তব্যে ইসলামি রাষ্ট্রের কল্যাণকর দিকগুলোর ইঙ্গিত বহন করে। প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থার সাথে ইসলামি রাষ্ট্রের অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থায় সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস জনগণ, আর ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থায় সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ। প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থার চেয়ে ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা মানুষের জন্য অনেক কল্যাণকর।
উদ্দীপকে দেখা যায়, নাবিলা তার বোন নাফিসাকে বলে, ইসলামি শাসনব্যবস্থা সকল মানুষের জন্য কল্যাণকর। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সর্বত্র দীনি পরিবেশ স্থায়িত্ব লাভ করবে। নাফিসার এ বক্তব্যের আলোকে ইসলামি রাষ্ট্রের ইতিবাচক দিক হলো, বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, আদর্শিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, কল্যাণ রাষ্ট্র ও পরামর্শভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সম্ভ্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সম্পদের নিরাপত্তা লাভ হয়। সুষম অর্থব্যবস্থা বহাল থাকে। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত হয়, মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হয়। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ইত্যাদি।