শ্রেণিশিক্ষক শিক্ষার্থীদের ইসলামি রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করতে বললে শিক্ষার্থীরা 'শাপলা' এবং 'কদম' নামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে নিম্নলিখিত পয়েন্টের আকারে ইসলামি রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করল।
শাপলা | কদম |
১. আল্লাহর সার্বভৌমত্ব। | ১. ইনসাফভিত্তিক। |
২. ইসলামি সরকার। | ২. আল্লাহ-রাসুলের আনুগত্য ভিত্তিক। |
৩. কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনব্যবস্থা। | ৩. জীবনের নিরাপত্তা। |
৪. কল্যাণ রাষ্ট্র। | ৪. আখিরাতভিত্তিক। |
৫. ধর্মীয় স্বাধীনতাভিত্তিক। | ৫. রাজনৈতিক অধিকার। |
৬. মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা। |
উদ্দীপকে শাপলা দলের শিক্ষার্থীরা ইসলামি রাষ্ট্রের কয়েকটি বৈশিষ্ট্যর কথা উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে কল্যাণ রাষ্ট্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ভিত্তিক রাষ্ট্র ইসলামি রাষ্ট্রের অন্যতম দুটি বৈশিষ্ট্য। ইসলামি রাষ্ট্র অঞ্চল, বর্ণ বা জাতীয়তার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কোনো রাষ্ট্র নয় বরং এ রাষ্ট্র হলো ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কল্যাণকামী ও ধর্মীয় স্বাধীনতাভিত্তিক রাষ্ট্র। যা শাপলা দলের আলোচনায় ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকের শাপলা দলের ৪ এবং ৫নং বৈশিষ্ট্যে বলা হয়েছে, ইসলামি রাষ্ট্র হলো কল্যাণ রাষ্ট্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতাভিত্তিক। কেননা আল্লাহ তায়ালার প্রতি ইমান পোষণ এবং ইসলামি অনুশাসন মেনে যে কেউ এ রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে পারে। এমনকি ইমান না এনে শুধু জিজিয়া প্রদানের অঙ্গীকারে অমুসলিমরাও রাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারে। ইসলামি রাষ্ট্র সবাইকে সমান নিরাপত্তা দেয়। মুসলিমদের জাতীয় দায়িত্ব হলো মানুষকে হিদায়াতের পথে আহ্বান জানানো। তাই এটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র। ইসলামি রাষ্ট্র একটি উদার ধর্মীয় রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্রে সব নাগরিকের নিজ নিজ ধর্মপালনের অবাধ সুযোগ থাকে। জোর করে ধর্মান্তরিত করার বিধান ইসলামি রাষ্ট্রে নেই। আল্লাহ তায়ালা ধর্মপালনের স্বাধীনতার অধিকার ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন- 'ধর্মে কোনো বাড়াবাড়ি নেই'।