Academy

শ্রেণিশিক্ষক শিক্ষার্থীদের ইসলামি রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করতে বললে শিক্ষার্থীরা 'শাপলা' এবং 'কদম' নামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে নিম্নলিখিত পয়েন্টের আকারে ইসলামি রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করল।

শাপলা

কদম

১. আল্লাহর সার্বভৌমত্ব।

১. ইনসাফভিত্তিক।

২. ইসলামি সরকার।

২. আল্লাহ-রাসুলের আনুগত্য ভিত্তিক।

৩. কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনব্যবস্থা।

৩. জীবনের নিরাপত্তা।

৪. কল্যাণ রাষ্ট্র।

৪. আখিরাতভিত্তিক।

৫. ধর্মীয় স্বাধীনতাভিত্তিক।

৫. রাজনৈতিক অধিকার।

৬. মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা।

কদম দলের উল্লেখকৃত ৫ এবং ৬ নম্বর বিষয়টি- বিশ্লেষণ করো। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

কদম দলের উল্লেখকৃত ইসলামি-রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে অন্যতম দুটি বৈশিষ্ট্য হলো- মৌলিক অধিকার ও রাজনৈতিক অধিকারের নিয়শ্চয়তা দান। ইসলামি রাষ্ট্র তার নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার দেয়। নির্দ্বিধায় ও নির্বিঘ্নে সে নিজের মত প্রকাশ করতে পারে। এ রাষ্ট্রে সীমালঙ্ঘন না করে ব্যক্তি সবরকম রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করেন। আর অবাধ যাতায়াত ও ভোেট প্রদানের অধিকার থাকে। ইসলামি রাষ্ট্র নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার পূরণেরও নিশ্চয়তা দেয়। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিনোদন মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। যা ছকে কদম দলের আলোচনায় ফুটে উঠেছে।

উদ্দীপকের কদম দলের আলোচনায় ইসলামি রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি বৈশিষ্ট্য তথা রাজনৈতিক অধিকার ও মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে। ইসলামি রাষ্ট্রের নাগরিকদের শুধু মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকার নয় বরং মৌলিক অধিকার থেকে শুরু করে, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, স্বাধীনতাসহ সব ধরনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। ইসলামি রাষ্ট্রে নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকারকে সুরক্ষিত করার জন্য রাসুল (স) বলেছেন, 'ইসলামে ন্যায়সঙ্গত কারণ ব্যতীত কাউকে বন্দি রাখা যায় না।' (মুয়াত্তা)। আবার ইসলামি রাষ্ট্র রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার পূরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর অর্ধ জাহানের খলিফা হযরত ওমর (রা) এজন্যই বলেছিলেন- 'যদি ফোরাতের তীরে কোনো একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায় সেজন্য আমাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।'

9 months ago

ইসলাম শিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion