শিক্ষক ইসলাম শিক্ষা ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীদের ২টি দলে ভাগ হয়ে ইসলামি রাষ্ট্রে নাগরিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করতে বললেন। শিক্ষার্থীরা 'ক' এবং 'খ' নামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে তাদের আলোচনা শুরু করল।
দল 'ক' সামাজিক অধিকার | দল 'খ' অর্থনৈতিক অধিকার |
১. নিরাপত্তা লাভের অধিকার। | ১. হালাল উপার্জনের অধিকার। |
২. গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার। | ২. কর্মসংস্থান ও চাকরির অধিকার। |
৩. ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার। | ৩. সম্পদের অধিকার। |
৪. মৌলিক মানবিক অধিকার লাভ। | ৪. নিঃস্বদের অধিকার। |
উদ্দীপকে 'ক' দলের উল্লেখিত ন্যায়বিচার ও মৌলিক মানবিক অধিকার ইসলামি রাষ্ট্রে নাগরিকের অন্যতম দুটি সামাজিক অধিকার। ইসলামি রাষ্ট্রের নাগরিকরা মুসলিম অমুসলিম বা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে মানবিক অধিকার ভোগ করতে পারে। ইসলামি রাষ্ট্র নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ অধিকারসমূহ পূরণের নিশ্চয়তা দেয়। অসংখ্য অধিকারের মধ্যে ইসলামি রাষ্ট্রে নাগরিকের জন্য অন্যতম দুটি সামাজিক অধিকার হলো- ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা ও মৌলিক মানবিক অধিকার লাভ করা। এসব অধিকার সংরক্ষণে ইসলামি রাষ্ট্র সর্বদা সচেষ্ট।
উদ্দীপকে 'ক' দলে উল্লেখিত ৩ ও ৪নং ইসলামি রাষ্ট্রের নাগরিকদের সুবিচার ও মৌলিক মানবিক অধিকার লাভের কথাই বলা হয়েছে। ইসলামি রাষ্ট্রের সব নাগরিক সুবিচার পাওয়ার অধিকার রাখে। ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল, ভাষা, জাতীয়তা নির্বিশেষে সব নাগরিক ন্যায়বিচার পাবে। কারো ওপর জুলুম করা হবে না। কাউকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবে না। কেননা ইসলামি রাষ্ট্রের মূলভিত্তি সুবিচার ও ন্যায়নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ তায়ালা বলেন- 'আর যখন তুমি বিচার করবে, তখন তাদের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয় ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন' (সুরা আল মায়িদা : ৪২)। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিনোদন হলো মৌলিক মানবিক অধিকার। ইসলামি রাষ্ট্রের নাগরিক নিজের চেষ্টায় এ মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণের অধিকার রাখে। কোনো কারণে নাগরিক যদি মৌলিক চাহিদাসমূহের কোনো একটি পূরণে অক্ষম বা অসমর্থ হয় তাহলে রাষ্ট্র তা পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ জন্য রাষ্ট্রকে বিশেষ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।