জনাব জাহিদুল ইসলাম বিশ্বের অন্যতম একটি মুসলিম সংগঠনের প্রধান। সংগঠনটির সকল সদস্যই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। সংগঠনের সকল কার্যক্রমে আল্লাহকে সকল ক্ষমতার উৎস এবং সার্বভৌমত্বের অধিকারী হিসেবে মানা হয়। এ সংগঠন পরিচালনার জন্য একটি পরামর্শ সভাও রয়েছে। এর পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে। জাহিদুল ইসলামের ইচ্ছা সে এ সংগঠনের মাধ্যমে একটি ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করবে। তার এই কথা শুনে পরামর্শ সভার একজন বলে উঠল যে ইসলামি সকল উপাদান না থাকলে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম সম্ভব নয়।
অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ইসলামি সংগঠনে নির্দিষ্ট স্বাধীন ভূখণ্ড ছাড়া রাষ্ট্রের প্রায় সকল উপাদানই সন্নিবেশিত রয়েছে। যেমন ইসলামি রাষ্ট্রের গঠনপ্রণালির মধ্যে রয়েছে ইসলামি অনুশাসনের অনুসারী একদল লোক নিয়ে ইসলামি রাষ্ট্র গঠিত হবে। ইসলামি রাষ্ট্রে একটি সুসংগঠিত ইসলামি সরকার থাকবে। ইসলামি রাষ্ট্রে সার্বভৌম ক্ষমতার নিরঙ্কুশ অধিকার থাকবে আল্লাহ তায়ালার। যেমন কুরআনে এসেছে-
قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ
অর্থ: 'বলো, হে আল্লাহ তুমি সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক' (সুরা আলে ইমরান: ২৬)।
ইসলামি রাষ্ট্র গঠিত হবে সুনির্ধারিত গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে। ইসলামি রাষ্ট্রে একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন যিনি হবেন মুসলিম পুরুষ, মুত্তাকি এবং জ্ঞানী। ইসলামি রাষ্ট্রের আরেকটি অনিবার্য উপাদান হলো মজলিশে শুরা বা পরামর্শ সভা থাকা। উপরিউক্ত উপাদানগুলো উক্ত ইসলামি সংগঠন এর মধ্যে বিদ্যমান।