শিক্ষক তুলিকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধরনের একটি তালিকা তৈরি করতে বললে তুলি নিম্নোক্ত তালিকাটি তৈরি করে-
গ্রামীণ সংস্কৃতি | গ্রামীণ জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। |
নগর সংস্কৃতি | রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত সমাজের মনোবৃত্তি, বিশ্বাস, অনুভূতি ও মূল্যবোধ নিয়ে গড়ে ওঠে। |
নবান্ন উৎসব | পহেলা বৈশাখের একটি সর্বজনীন আচরণীয় রীতি। |
সংস্কৃতি প্রত্যয়টিকে বিভিন্ন মনীষীরা বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছেন। যেমন- সাহিত্যিকরা মানুষের চিন্তা-ভাবনা, আশা- আকাঙ্ক্ষা, কামনা-বাসনা, কল্পনা ইত্যাদিকে বোঝানোর জন্য সংস্কৃতি প্রত্যয়টি ব্যবহার করে থাকেন। আবার নৃবিজ্ঞানীরা যেকোনো প্রকার উদ্ভাবনকেই সংস্কৃতি বলে গণ্য করেন। আর সমাজবিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যানুযায়ী সংস্কৃতি হলো সার্বিক জীবন প্রণালি। সংস্কৃতির বহুল উদ্ধৃত সংজ্ঞাটি প্রদান করেছেন ই. বি. টেইলর। তার মতে, সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষের অর্জিত আচার-আচরণ, ব্যবহার, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্পকলা, নীতি, প্রথা, আইন ইত্যাদির জটিল সমন্বয়ই হলো সংস্কৃতি।