শিক্ষক তুলিকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধরনের একটি তালিকা তৈরি করতে বললে তুলি নিম্নোক্ত তালিকাটি তৈরি করে-
গ্রামীণ সংস্কৃতি | গ্রামীণ জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। |
নগর সংস্কৃতি | রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত সমাজের মনোবৃত্তি, বিশ্বাস, অনুভূতি ও মূল্যবোধ নিয়ে গড়ে ওঠে। |
নবান্ন উৎসব | পহেলা বৈশাখের একটি সর্বজনীন আচরণীয় রীতি। |
তুলি এ সম্পর্কে সঠিক যে তথ্যগুলো লিখতে পারে তা তালিকা আকারে নিচে বিশ্লেষণ করা হলো:
গ্রামীণ সংস্কৃতি | বাংলাদেশ গ্রামপ্রধান দেশ। গ্রামীণ জীবনকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। তবে গ্রামের মানুষেরা শহর তথা নগরবাসীকে অনুকরণ ও অনুসরণ করার ফলে শহুরে সংস্কৃতি বিক্ষিপ্তভাবে গ্রামীণ জীবনে বিচ্ছুরিত হয়। |
নগর সংস্কৃতি | নগর হলো শিল্প-বাণিজ্য, শিক্ষা-সাহিত্য ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলকেন্দ্র। বিভিন্ন কাজ কর্ম উপলক্ষে দেশ বিদেশের নানা রকম মানুষের সেখানে সমাবেশ ঘটে। তাদের ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠান, চিন্তা-ভাবনা, পোশাক- |
| পরিচ্ছদ, চাল-চলন, বিদ্যা-বুদ্ধি এক নয়। এদের মধ্যকার সম্পর্ক ও পরিচয় অনেকটাই স্থায়ী নয়। |
নবান্ন উৎসব | বাংলাদেশের প্রধান লোক উৎসবের মধ্যে নবান্ন উৎসব অন্যতম। নবান্ন উৎসব মূলত কৃষিভিত্তিক সভ্যতার প্রধান শস্য সংগ্রহকে কেন্দ্র করে যেকোনো ঋতুতে দেশি ঢঙে পালন করা। এ সময় গ্রামাঞ্চলে মেয়েরা নতুন চাল দিয়ে গুড়ের পায়েস, পিঠা, মোয়া- মুড়ি ইত্যাদি তৈরি করে। এ সময় নতুন ফসল কৃষিজীবী মানুষের মনে আনন্দ এনে দেয়। এ আনন্দের প্রতিফলন ঘটে পিঠাপুলি প্রভৃতির অবারিত বিতরণের মধ্য দিয়ে। |