রায়হান আয়ারল্যান্ডের মেয়ে রেবেকাকে বিয়ে করে দেশে বেড়াতে এলো। এ দেশে এসে রেবেকা লক্ষ করলো, এখানকার মানুষ উৎসবপ্রিয় ও আন্তরিক। তারা বিভিন্ন ধর্মানুসারী হলেও 'যে যার মতো ধর্মানুষ্ঠান পালন করে। শুধু তাই নয়, সব ধর্মাবলম্বীরা একত্রিত হয়ে পহেলা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি ইত্যাদি দিবসও পালন করে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাসমূহ সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম মৌল প্রত্যয় সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে।
পৃথিবীতে আবির্ভাবের পর মানুষকে বিভিন্ন সময়ে অনেক প্রতিকূল অবস্থা তথা নানাবিধ বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে মানুষ যেসব চিন্তা-ভাবনা করেছে এবং যা কিছু সৃষ্টি করেছে তার সবটাকেই একত্রে সংস্কৃতি বলা হয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে গিয়ে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে মানুষ যা কিছু আবিষ্কার করেছে সেটাই তার সংস্কৃতি। দৈহিক ও মানসিক চাহিদা পূরণে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাপনায় মানুষের মধ্যে প্রচলিত নানাবিধ বিশ্বাস, অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান, কার্যাবলি, জ্ঞান, আইন, রীতিনীতি, নেতৃত্ব, শিল্প, সাহিত্যকর্ম ইত্যাদির সমন্বিত রূপ হচ্ছে সংস্কৃতি। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, রায়হান আয়ারল্যান্ডের মেয়ে রেবেকাকে বিয়ে করে দেশে আসে। রেবেকা লক্ষ করে, এখানকার মানুষ উৎসব প্রিয় ও আন্তরিক। এছাড়া এখানকার মানুষ বিভিন্ন ধর্মানুসারী হলেও যে যার মতো ধর্মানুষ্ঠান পালন করে এবং সবাই মিলে নবান্ন, বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে। রেবেকার পর্যালোচনাকৃত এ সব বিষয় নিঃসন্দেহে সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত। কারণ এ সব বিষয়ের মাধ্যমেই বাঙালির বিশ্বাস, অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান, কার্যাবলি, রীতিনীতি, সাহিত্যকর্ম ইত্যাদি ফুটে উঠেছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপক দিয়ে সমাজবিজ্ঞানের মৌল প্রত্যয় সংস্কৃতিকে নির্দেশ করা হয়েছে।