Academy

চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কি উক্ত তত্ত্বের প্রয়োগ আছে? বিশ্লেষণ করো। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

হ্যাঁ, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ব্যবধান তত্ত্বের প্রয়োগ লক্ষণীয়।

আমাদের দেশে বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতি একই সময়ের মধ্যে একই গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে না ফলে সামাজিক সমস্যা দিন দিন প্রকটতর হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা উপকরণের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু তা মানুষের আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনে সক্ষম হচ্ছে না। আবার চিকিৎসা ক্ষেত্রেও অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতে আছে। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ নিজের সমস্যার কথা ডাক্তারের কাছে বলতে লজ্জাবোধ করে। এছাড়াও দেশের অনেক মানুষ এখনও সনাতন চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই পছন্দ করে। অন্যদিকে কৃষিক্ষেত্রে যে কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাবে তার ব্যবহার ততটা বাড়েনি। আবার শিল্প কারখানাগুলোতে উন্নত প্রযুক্তি থাকলেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শ্রমিকের অভাবে তা অব্যবহৃত থাকে অথবা ব্যবহার না হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়াও বাংলাদেশের অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, সর্বত্র উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, যেমন- কম্পিউটার, ফ্যাক্স, ই-মেইল, ফটোকপি মেশিন ইত্যাদি। কিন্তু এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করার মত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকায় জনগণ যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সুতরাং উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতির ব্যবধান তত্ত্বের প্রয়োগ প্রায়শই লক্ষ করা যায়।

9 months ago

সমাজবিজ্ঞান

Please, contribute to add content.
Content
Promotion