সোমপুর বিহার |
গন্ধেশ্বরীর মন্দির |
তাম্র ও শিলালিপি |
প্রস্তর মূর্তি |
মুদ্রা |
উদ্দীপকে নির্দেশিত পাহাড়পুরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ বাংলাদেশের সামাজিক ইতিহাসকে ধারণ করে। প্রাচীনকাল থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সমাজকাঠামোর প্রকৃতি নির্ধারণে পাহাড়পুরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সহায়ক ভূমিকা রাখে। এখানকার মন্দির, পাথর নির্মিত বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি প্রমাণ করে যে, প্রাচীনকালে (মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন আমল) এ অঞ্চলে বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের বেশ প্রভাব ছিল। সে সময়ের রাজারা কারুকার্য খচিত বিশাল আয়তনের ধর্ম মন্দির স্থাপনে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এতে বোঝা যায়, রাষ্ট্রীয় কাজে ধর্ম বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার ছিল। পাহাড়পুরের ধ্বংসাবশেষ আরো প্রমাণ করে যে, ধর্মীয় কাজে ধনী ব্যক্তি কিংবা নৃপতিদের দানের হাত ছিল দরাজ। পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত প্রাচীন মুদ্রা থেকে অনুমান করা অযৌক্তিক নয় যে, তখন সমাজে মুদ্রা অর্থনীতির বিকাশ ঘটেছিল। আর মুদ্রা অর্থনীতির বিকাশ সমাজে সামাজিক অসমতা বা স্তরবিন্যাসের অস্তিত্বকে প্রমাণ করে। এ সভ্যতার তাম্রলিপি ও শিলালিপিতে উৎকীর্ণ ভূমি ক্রয়-বিক্রয়, ভূমিদান ইত্যাদির দলিল থেকে মনে করা যেতে পারে যে, ভূসম্পত্তিতে ব্যক্তিগত মালিকানা ছিল।
উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত পাহাড়পুরের নিদর্শনসমূহ বিশ্লেষণ করে তদানীন্তন বাংলাদেশের সামাজিক ইতিহাসের একটি চিত্র ফুটিয়ে তোলা যায়। অর্থাৎ- নিদর্শনগুলো বাংলাদেশের সামাজিক ইতিহাসকে ধারণ করেছে।