সুখেন দাস তার জীবিকার প্রয়োজনে হাস-মুরগি, গরু- ছাগল লালন পালন করে। এর পাশাপাশি তার নিজস্ব জমিতে ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে থাকে। এটাই তার পেশা। তার স্ত্রী সংসারের কাজের ফাঁকে স্বামী ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় বিভিন্ন দেবতার উপাসনা করে থাকে যা তার কাছে খুবই পছন্দের কাজ।
উদ্দীপকে সুখেন দাসের স্ত্রীর পছন্দের কাজটির সাথে সিন্ধু সভ্যতার সমাজজীবনের ধর্মীয় দিকটির মিল লক্ষ করা যায়।
সিন্ধু সমাজে ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। কেননা, এখানে কোনো মন্দির বা মঠের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাদের মধ্যে যে ধর্মবিশ্বাস ছিল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত পোড়ামাটির মূর্তি থেকে বোঝা যায়, তাদের ধর্মীয় জীবনে মূর্তি পূজার প্রভাব ছিল। প্রাপ্ত মূর্তিসমূহ ছিল মূলত নারী মূর্তি যা থেকে ধারণা করা হয় তাদের মাঝে মাতৃপূজার প্রচলন ছিল। এছাড়াও প্রাপ্ত সিলমোহর থেকে বোঝা যায় তারা বিভিন্ন দেবতার পূজা করে থাকত।
উদ্দীপকে দেখা যায়, সুখেন দাসের স্ত্রী তার স্বামী ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় বিভিন্ন দেবতার উপাসনা করে থাকে যা উপরে আলোচিত সিন্ধু সভ্যতার ধর্মীয় জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।