রংপুরের মিতালী দত্ত নাটোর ও পাবনা থেকে মাছ সংগ্রহ করে শুঁটকি তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। ঋণের জন্য তিনি বিভিন্ন ব্যাংকে যোগাযোগ করলেও জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারেন না। তার এক বন্ধু তাকে একটি ব্যাংকের নাম বলে যেখানে তার মতো ব্যবসায়ীদের জামানত ছাড়া। ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি ঐ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে সফল হন এবং ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হন।
নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে এরূপ (জামানতবিহীন) ব্যাংক ঋণ যথেষ্ট অবদান রাখতে সক্ষম।
যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি একান্ত অপরিহার্য। বর্তমানে বাংলাদেশে নারী উদ্যোগ উন্নয়নে বেশ অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এরপরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এ জন্যে প্রয়োজন সহজ প্রক্রিয়ায় (জামানতবিহীন) ও স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় আর্থিক ও অনার্থিক সহায়তা।
উদ্দীপকের মিতালী দত্ত শুঁটকি তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। কিন্তু জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা দুর্লভ হওয়ায় তিনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধাগ্রস্ত হন। যদিও তিনি অনেক চেষ্টার পর জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা পেয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পেরেছেন। মিতালী দত্তের মতো নারী উদ্যোক্তারা জামানতবিহীন ঋণ সহজশর্তে পেলে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগমূলক কাজে সহজে অগ্রসর হয়ে তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবেন।
সুতরাং বলা যায়, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে এরূপ (জামানতবিহীন) ব্যাংক ঋণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম।