ফারুক সাহেব কয়েক বছর আগে বাড়ির আঙিনায় একটি আমগাছ রোপণ করেছিলেন। গত বছর ডালপালা ও পাতায় গাছটি ছেয়ে গিয়েছিল। এ বছর এতে মুকুল এসেছে এবং তা থেকে অনেক আমও হয়েছে। আমগুলো পাকার পর খেয়ে দেখা গেল সেগুলো যেমন মিষ্টি, তেমনি আমের ভেতরটাও বেশ লাল, আবার গন্ধটাও চমৎকার। এরপর তিনি বাড়িতে একটি বাগান তৈরি করলেন, যাকে দুই অংশে ভাগ করে এক ভাগে ফল গাছ রোপণ করলেন এবং অন্য ভাগে ফল গাছ ছাড়া অন্যান্য গাছ রোপণ করলেন।
উদ্দীপকে ফারুক সাহেবের বাগানে যৌক্তিক বিভাগের অন্যতম বিভাগ দ্বিকোটিক বিভাগের বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়।
দ্বিকোটিক বিভাগ বলতে বোঝায় একটি জাতি বা শ্রেণিকে তার অন্তর্গত এমন দুটি বিরুদ্ধ পদসংবলিত উপজাতি বা উপশ্রেণিতে ভাগ করা, যে দুটি উপজাতি বা উপশ্রেণির একটিতে একটি বিশেষ গুণ বর্তমান থাকে এবং এই বিশেষ গুণটি অন্যটিতে অনুপস্থিত থাকে। ফারুক সাহেব তার বাগানকে দুই অংশে ভাগ করেছেন, একটিতে মিষ্টিজাতীয় ফলের উপস্থিতি রয়েছে; আবার অন্যটিতে মিষ্টিজাতীয় ফলের অনুপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ফলে দেখা যাচ্ছে, ফারুক সাহেব তার বাগানে বিভাজন প্রক্রিয়া দ্বিকোটিক বিভাগের প্রকৃতি অনুসারেই সম্পন্ন করেছেন।
দ্বিকোটিক বিভাগে একটি জাতি বা শ্রেণিকে এমন দুটি বিরুদ্ধ উপজাতি বা উপশ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়, যাদের একটি সদর্থক পদবিশিষ্ট এবং অপরটি নঞর্থক পদবিশিষ্ট। ফারুক সাহেবের বাগানে মিষ্টি ফলের উপস্থিতিকে আমরা সদর্থক চিহ্ন এবং অনুপস্থিতিকে আমরা নঞর্থক চিহ্ন হিসেবে চিহ্নিত করে দ্বিকোটিক বিভাগ প্রক্রিয়ার উপস্থিতি দেখাতে পারি।