ফারুক সাহেব কয়েক বছর আগে বাড়ির আঙিনায় একটি আমগাছ রোপণ করেছিলেন। গত বছর ডালপালা ও পাতায় গাছটি ছেয়ে গিয়েছিল। এ বছর এতে মুকুল এসেছে এবং তা থেকে অনেক আমও হয়েছে। আমগুলো পাকার পর খেয়ে দেখা গেল সেগুলো যেমন মিষ্টি, তেমনি আমের ভেতরটাও বেশ লাল, আবার গন্ধটাও চমৎকার। এরপর তিনি বাড়িতে একটি বাগান তৈরি করলেন, যাকে দুই অংশে ভাগ করে এক ভাগে ফল গাছ রোপণ করলেন এবং অন্য ভাগে ফল গাছ ছাড়া অন্যান্য গাছ রোপণ করলেন।
"এই ধরনের বিভাগ একটি সহজ ও নিখুঁত প্রক্রিয়া।"- এই বক্তব্যে উদ্দীপকে দ্বিকোটিক বিভাগকে বোঝানো হয়েছে। যৌক্তিক বিভাগের সব নিয়মই যথাযথভাবে পালন করে বলে দ্বিকোটিক বিভাগকে সহজ ও নিখুঁত প্রক্রিয়া বলা হয়। একটি উদাহরণের মাধ্যমে তা ব্যাখ্যা করা হলো- উদাহরণ: মানুষ শ্রেণিকে সৎ মানুষ ও অসৎ মানুষ- এ দুটি বিরুদ্ধ উপশ্রেণিতে বিভক্ত করাই হচ্ছে দ্বিকোটিক বিভাগ।
১। দ্বিকোটিক বিভাগে জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদকে বিভক্ত করা হয়। যেমন: বিভক্ত মূল হিসেবে মানুষ হচ্ছে একটি শ্রেণিবাচক পদ।
২। দ্বিকোটিক বিভাগে একই সময় একটি মাত্র মূলসূত্র ব্যবহৃত হয়। আলোচ্য দৃষ্টান্তের মূলসূত্র হচ্ছে সততা।
৩। দ্বিকোটিক বিভাগের ক্ষেত্রে বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিসমূহের মিলিত ব্যক্তর্থ মূল জাতি বা শ্রেণি ব্যক্তর্থের সমপরিমাণ হয়। যেমন: দৃষ্টান্ত অনুযায়ী সৎ মানুষ ও অসৎ মানুষের সংখ্যা মিলিতভাবে সমগ্র মানুষ শ্রেণির সংখ্যার সমান।
৪। দ্বিকোটিক বিভাগে সর্বদা এক জোড়া বিরুদ্ধ পদ ব্যবহৃত হয় বলে বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণি দুটি পরস্পর বিচ্ছেদক হয়। যেমন : দৃষ্টান্ত অনুযায়ী মানুষ শ্রেণির বিভাজনে এক ভাগ সৎ মানুষ ও অন্য ভাগে রয়েছে অসৎ মানুষ।
৫। দ্বিকোটিক বিভাগে বিভাজ্য জাতি বা শ্রেণির নাম বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিদ্বয়ের উপর প্রযোজ্য হয়। যেমন : আলোচ্য দৃষ্টান্তে মানুষ শ্রেণির নামটি সৎ ও অসৎ উভয় উপশ্রেণির উপরই প্রযোজ্য হয়েছে।
৬। দ্বিকোটিক বিভাগে মধ্যবর্তী কোনো শ্রেণি বাদ না দিয়ে ক্রমানুসারে জাতি বা শ্রেণিকে বিভক্ত করা হয়। যেমন : দৃষ্টান্তে মানুষ শ্রেণি এবং সৎ ও অসৎ উপশ্রেণির মাঝে অন্য কোনো শ্রেণি নেই।