Academy

সুরভি মানুষকে বিভিন্ন গুণাবলিতে বিশ্লেষণ করে। সে সততায় বিভিন্ন মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করে- সৎ মানুষ ও অসৎ মানুষ। এগুলো সে তার পঠিত যুক্তিবিদ্যার বইয়ের জ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ করে।

উদ্দীপকে সুরভির বিভাজন অনুযায়ী বিভাগের মূলসূত্র বিভক্ত মূল ও বিভাজক উপশ্রেণি চিহ্নিত কর। (প্রয়োগ)

dsuc.created: 8 months ago | dsuc.updated: 8 months ago
dsuc.updated: 8 months ago

উদ্দীপকে উল্লিখিত সুরভির বিভাজন অনুযায়ী বিভাগের মূলসূত্র বিভক্তমূল ও বিভাজক উপশ্রেণি নিচে চিহ্নিত করা হলো- যেকোনো বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তিনটি উপাদানের ভিত্তিতে। এ উপাদানগুলো হলো- বিভাগের মূলসূত্র (Principle of division), বিভক্তমূল (Divided whole) ও বিভাজক উপশ্রেণি (Divided members)। যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে প্রথমে একটি গুণ নির্বাচন করা হয়। এ গুণটি যেসব বস্তুর মধ্যে বিদ্যমান, তাদের এক ভাগে রাখা হয় এবং গুণটি যেসব বস্তুর মধ্যে বিদ্যমান নেই, তাদের অন্য ভাগে বিন্যস্ত করা হয়। আর এ গুণটিই হচ্ছে বিভাগের মূলসূত্র। এই মূলসূত্র অনুসারে যে জাতিকে বিভক্ত করা হয়, তাকে বলে বিভক্তমূল এবং এই বিভক্তমূলকে যেসব উপজাতিতে বিভক্ত করা হয়, সেই উপজাতিসমূহকে বলে বিভাজক উপশ্রেণি। একটি দৃষ্টান্ত দ্বারা যৌক্তিক বিভাগের এই আঙ্গিক উপাদানগুলোকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। যেমন: 'সততা' গুণটি থাকা বা না থাকার ভিত্তিতে মানুষ নামক উচ্চতর শ্রেণিকে সৎ মানুষ ও অসৎ মানুষ- এ দুটি নিম্নতর উপশ্রেণিতে ভাগ করা যায়। এ ক্ষেত্রে 'সততা' হচ্ছে বিভাগের মূলসূত্র, 'মানুষ' শ্রেণি হচ্ছে বিভক্তমূল এবং 'সৎ মানুষ' ও 'অসৎ মানুষ' হচ্ছে বিভাজক উপশ্রেণি। উল্লেখ্য, যৌক্তিক বিভাগে একই শ্রেণিকে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে বিভিন্ন উপশ্রেণিতে বিন্যস্ত করা যায়। যেমন: একই 'মানুষ' শ্রেণিকে 'জ্ঞান' সূত্রের ভিত্তিতে 'জ্ঞানী' ও 'মূর্খ' 'শিক্ষা' সূত্রের ভিত্তিতে 'শিক্ষিত' ও 'অশিক্ষিত', বা 'সভ্যতা' সূত্রের ভিত্তিতে 'সভ্য' ও 'অসভ্য' মানুষে বিভক্ত করা যায়।

উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, সুরভির বিভাজন হলো যৌক্তিক বিভাগের উপাদান। যার মাধ্যমে বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

8 months ago

যুক্তিবিদ্যা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion