Academy

জনাব মোহাম্মদ তাসিন সরকার পদার্থবিদ্যার একজন গবেষক। তিনি তার গবেষণা প্রবন্ধের শুরুতেই পদার্থকে কঠিন, তরল ও বায়বীয় এই তিন ভাগে ভাগ করলেন। কিছু পদবিশিষ্ট হওয়ায় তিনি কিছুতেই সেগুলোকে বিভাজন করতে পারলেন না। কিন্তু কিছু সমবৈশিষ্ট্যযুক্ত পদ সম্পর্কে তার ধারণা থাকলেও যৌক্তিক বিভাজন করতে পারলেন না। তার ছেলে আলাউদ্দিনের যুক্তিবিদ্যা পড়া থাকায় সে তার বাবাকে দ্বিকোটিক বিভাগের সাহায্য নিতে বলল।

যৌক্তিক বিভাগের সীমাবদ্ধতা লেখ। (প্রয়োগ)

dsuc.created: 8 months ago | dsuc.updated: 8 months ago
dsuc.updated: 8 months ago

যৌক্তিক বিভাগের বিভাজন প্রক্রিয়ায় প্রয়োগ করা যায় না, এমন কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয় এখানে তুলে ধরা হলো-

⇨ অপরতম উপজাতির ক্ষেত্রে যৌক্তিক বিভাগ প্রয়োগযোগ্য নয়। কারণ অপরতম উপজাতি হচ্ছে সর্বনিম্ন উপজাতি, যার আর কোনো উপজাতি নেই। 

⇨ ব্যক্তর্থহীন পদের যৌক্তিক বিভাগ করা যায় না। কারণ যৌক্তিক বিভাগ হচ্ছে ব্যক্তর্থের বিশ্লেষণ। সুতরাং যেসব পদের ব্যক্তর্থ নেই, তাদের ক্ষেত্রে বিভাজন প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা সম্ব হয় না। 

⇒ মৌলিক ও সরল বিষয়ের যৌক্তিক বিভাগ সম্ভব নয়। কারণ মৌলিক ও সরল বিষয়ের কোনো অংশ থাকে না। এ জন্য এগুলোকে বিশ্লেষণ করা যায় না। আর বিশ্লেষণ করা যায় না বলে এদের বিভক্ত করার প্রয়োজন হয় না।

⇨ বিশিষ্ট সমষ্টিবাচক পদের ক্ষেত্রে যৌক্তিক বিভাগ প্রযোজ্য নয়। কারণ বিশিষ্ট সমষ্টিবাচক পদগুলো একক ও নির্দিষ্টবিধায় এরূপ পদের কোনো উপশ্রেণি থাকে না। 

⇒ একক ব্যক্তি বা বস্তুর যৌক্তিক বিভাজন সম্ভব নয়। কারণ যৌক্তিক বিভাগ কেবল জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়। একক ব্যক্তি বা বস্তুর ক্ষেত্রে নয়।

উল্লেখ্য, উপরে আলোচিত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে বিভাগের নিয়মসমূহ প্রয়োগযোগ্য নয় বলে এগুলোর ক্ষেত্রে বিভাজন। প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা যায় না। আর এসব ক্ষেত্রেই যৌক্তিক বিভাগের পরিধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।

8 months ago

যুক্তিবিদ্যা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion