Academy

'ক' কলেজের ছাত্রছাত্রীদেরকে মতিয়ুর স্যার একই সাথে ফলাফল এবং উপস্থিতির ভিত্তিতে বেশি মেধাবী এবং কম মেধাবী এবং কলেজিয়েট এবং নন-কলেজিয়েট-এ ভাগ করেন। অন্যদিকে, জসীম স্যার শুধু ফলাফলের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদেরকে মেধাবী এবং কম মেধাবী হিসেবে ভাগ করেন।

উদ্দীপকে জসীম স্যারের বিভাগটি কোন ধরনের বিভাগকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। (প্রয়োগ)

dsuc.created: 8 months ago | dsuc.updated: 8 months ago
dsuc.updated: 8 months ago

উদ্দীপকে জসীম স্যারের বিভাগটি যে ধরনের বিভাগকে নির্দেশ করে তা হলো অব্যাপক বিভাগ। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো- যৌক্তিক বিভাগের একটি অন্যতম ভ্রান্তরূপ হচ্ছে 'অব্যাপক বিভাগ', যার উদ্ভদ্ধ ঘটে বিভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের লঙ্ঘন থেকে। এই নিয়ম অনুযায়ী, যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলোর মিলিত ব্যক্তর্থ বিভাজ্য জাতি বা শ্রেণির ব্যক্তর্থের সমপরিমাণ হবে। কিন্তু যদি কম হয়, তাহলে উদ্ভব ঘটে আলোচ্য ত্রুটিপূর্ণ বিভাগের। অর্থাৎ এরূপ ক্ষেত্রে একটি জাতি বা শ্রেণিকে বিভক্ত করার সময় এর অন্তর্গত সম্ভাব্য সবগুলো উপজাতি বা উপশ্রেণিকে উল্লেখ করা হয় না, বরং এ ক্ষেত্রে দু-একটি উপজাতি বা উপশ্রেণি বিভাজন-প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যায়। যেমন : 'মানুষ' শ্রেণিকে 'ধনী' ও 'দরিদ্র'- এ দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হলে এদের সংখ্যা মিলিতভাবে মানুষের সংখ্যা থেকে কম হবে। কারণ এখানে 'মধ্যবিত্ত' শ্রেণি 'মানুষ' নামক মূলশ্রেণি থেকে বাদ পড়ে গেছে। এ কারণেই আলোচ্য বিভাজন প্রক্রিয়াটি পরিণত হয়েছে 'অব্যাপক বিভাগ' নামক ভ্রান্ত বিভাগে। কাজেই ভ্রান্তি এড়ানোর জন্য এমনভাবে বিভাজন-প্রক্রিয়া প্রয়োগ করতে হবে, যাতে বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলোর পরিমাণ সম্মিলিতভাবে বিভাজ্য মূল জাতি বা শ্রেণির সমান হয়, কোনোভাবেই কম না হয়।

উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, উদ্দীপকে জসীম স্যারের বিভাগটির সাথে অব্যাপক বিভাগের সাদৃশ্য রয়েছে। তাই বলা যায়, জসীম স্যারের এধরনের বিভাগ অব্যাপক বিভাগকে নির্দেশ করে।

8 months ago

যুক্তিবিদ্যা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion