ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আমেরিকার স্বাধীনতার যুদ্ধে ফ্রান্স আমেরিকাকে সাহায্য করে। বিশ্বব্যাপী এই দুই ঔপনিবেশিক শক্তির পারস্পরিক প্রতিযোগিতা আমেরিকাকে ফ্রান্সের সমর্থন পেতে সাহায্য করেছিল। ফ্রান্স আর্থিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রে আমেরিকাকে সাহায্য করে। ফ্রান্সের ভূমিকা আমেরিকার জনগণের স্বাধীনতার ইচ্ছাকে সফল করতে সাহায্য করে।
উক্ত দেশ অর্থাৎ ভারতের ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছিল।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার, উৎপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বপ্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। তারা ২৫ মার্চের কালরাতের হত্যাযজ্ঞ ও এর পরবর্তী নয় মাস ধরে পাক হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের নানা চিত্র বহির্বিশ্বে তুলে ধরে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রথম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে আন্তর্জাতিক পরিসরে পরিচিত করেন। ভারতের জনগণ ও সরকার প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দান করে। এছাড়াও ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন প্রদান, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের মাটিতে অবস্থান করে কার্যক্রম পরিচালনা প্রভৃতির অনুমতি প্রদান করে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রচ্ছন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তানিদের ঘাঁটিতে আক্রমণে অংশ নেয়। সবশেষে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে ভারতীয় ও বাংলাদেশের মুক্তি বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী গঠন করে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়। অতঃপর ভারত ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে।
উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ভারতের ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছিল।