নিউইয়র্কে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের শবনম এবং ভারতের চন্দনা পরিবারসহ বাস করে। শবনম একবার চন্দনার কাছ থেকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, ডাক্তার সর্বোপরি জনসাধারণ কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন যুগিয়েছিল তার তথ্যবহুল বর্ণনা জানতে পারে। শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধে ভারতের পত্র পত্রিকার ভূমিকাও ব্যাপক অবদানের কথা চন্দনা শবনমকে জানায়।
চন্দনার জানানো শেষের অবদানটি মূল্যায়ন কর
(উচ্চতর দক্ষতা)চন্দনার জানানো শেষের অবদান হলো ভারতীয় প্রচার মাধ্যমের অবদান।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা হিসেবে কাজ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। বিশেষত প্রিন্ট মিডিয়া ও স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র তখন পাশে ছিল এবং স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ। ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত করে।
ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেন পূর্ব-পাকিস্তানে গণহত্যা হয়েছে। তিনি লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লেখেন, 'ট্যাংকস ক্রাশ রিজেন্ট ইন পাকিস্তান।' ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর বাংলাদেশের মুজিবনগর থেকে সর্বপ্রথম 'দৈনিক জয়বাংলা' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এটি ছিল মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত প্রথম দৈনিক পত্রিকা।
এছাড়াও ভারতীয় প্রচার মাধ্যম স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা এবং নিরীহ বাঙালির বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর অন্যায় আক্রমণ ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালিয়েছিল। শুধু তাই নয়, মুসলিম বিশ্ব এবং পশ্চিমা শক্তিবর্গকে পাকিস্তানের পর্যায়ক্রমিক অপপ্রচারের বিরুদ্ধাচরণ করা এবং বাংলাদেশের বাস্তবতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে এবং বিশ্ব জনমত গঠনের ক্ষেত্রে ভারতের সংবাদপত্র ও অন্যান্য গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরকে শরণার্থীদের দুর্দশা, মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতা এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের নিদর্শনসমূহ দেখানোর ব্যবস্থাও করেছিল।