ইতিহাসের শিক্ষক মামুন স্যার ছাত্রদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়াচ্ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বললেন, হানাদারবাহিনী দ্বারা অত্যাচারিত ও আশ্রয়হীন প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশিকে ভারত সরকার কর্তৃক আশ্রয়দান, খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা মানবতার ইতিহাসে এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ ছাড়া সমাজতান্ত্রিক আরেকটি রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে
বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু প্রচ্ছন্নভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি এ জন্য যে, এতে পাকিস্তানিরা সামরিক আগ্রাসন চালানোর বৈধতা পেয়ে যাবে। ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালিদের মাঝে স্বাধীনতা লাভের উন্মাদনা জাগ্রত করেছিল। তারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত হয়ে তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার ও সৈনিকগণ এ ভাষণকে আসন্ন যুদ্ধে বিদ্রোহের সবুজ সংকেত বলে মনে করে প্রস্তুতি শুরু করে। এককথায় এ ভাষণকে ধারণ করে আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
না উদ্দীপকে উল্লেখিত সমাজতান্ত্রিক আরেকটি রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে কথাটি দ্বারা সোভিয়েত ইউনিয়নকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।