ইতিহাসের শিক্ষক মামুন স্যার ছাত্রদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়াচ্ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বললেন, হানাদারবাহিনী দ্বারা অত্যাচারিত ও আশ্রয়হীন প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশিকে ভারত সরকার কর্তৃক আশ্রয়দান, খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা মানবতার ইতিহাসে এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ ছাড়া সমাজতান্ত্রিক আরেকটি রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে
মানবতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপনে ভারতের ভূমিকা সম্পর্কে শিক্ষকের মন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপকে বর্ণিত মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী দ্বারা অত্যাচারিত ও আশ্রয়হীন প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশিকে ভারত সরকার কর্তৃক আশ্রয়দান, খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা প্রদান মানবতার ইতিহাসে এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার, উৎপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বপ্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। ভারত পাকিস্তানি হানাদার কর্তৃক বাঙালি নিধনের তীব্র নিন্দা ও। প্রতিবাদ করে এবং শান্তিপূর্ণভাবে পাকিস্তানি সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানায়। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের অত্যাচার, উৎপীড়ন ও নির্যাতনের ফলে লক্ষ লক্ষ বাঙালি দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। এ সময় ভারতের সাধারণ জনগণ দেশত্যাগী বাঙালিদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে। ফলে ভারতের সীমান্ত এলাকায় স্থাপিত হয় হাজার হাজার শরণার্থী শিবির। বাঙালি শরণার্থীদের চাপে ভারত সরকার দিশেহারা হয়ে জাতিসংঘে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি উত্থাপন করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ভারত সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করলে বিশ্ব মানচিত্রে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কাজ সহজ হয়।।
উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকে বর্ণিত শিক্ষকের মন্তব্যটি যথার্থ।